1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

কী চায় বিএনপি!

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

বিএনপি কী চায় তা কেবল বিএনপিই জানে। বাইরে থেকে সেটি বলা সম্ভব নয়। তবে তাদের অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ডের সংমিশ্রণে একটা সম্ভাব্য চিত্র তৈরি করা যায়, আর সেটাই বিশ্লেষকদের কাজ। তাঁদের কাজ, জ্যোতিষীর মতো ভবিষ্যদ্বাণী করা নয়।

২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান কী হতে পারে সে বিষয়ে ক্রমেই তারা পয়েন্ট অব নো রিটার্নের দিকে চলে যাচ্ছে, যা একটা রাজনৈতিক দলের জন্য আত্মঘাতী পথ। ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ঘটানো হবে—বিএনপির এমন আগাম ঘোষণা, দেশে-বিদেশে তাদের প্রপাগান্ডা বাহিনীর নজিরবিহীন মিথ্যাচারে পূর্ণ গুজব ছড়ানো এবং তারপর সেদিন সত্যিকার কী ঘটেছে তার সব কিছুই এখন সবাই জানেন ও দেখেছেন। আইন ও সাংবিধানিক ক্ষমতার কাছে বিএনপিকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। তবে ১০ ডিসেম্বরের ঘটনার মধ্য দিয়ে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, যা আগামী দিনের পরিস্থিতি মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করবে।

প্রথমত, গুজব এক ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক অস্ত্র। এর লক্ষ্য সংঘাত-সংঘর্ষ, নৈরাজ্য, অরাজকতা ও রক্তপাত ঘটানো। গুজবের মাধ্যমে এবার তারা মানুষের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পেরেছিল, এ কথা সঠিক। কিন্তু র‌্যাশনালিস্ট বা যুক্তিবাদী মানুষ কিন্তু ঠিকই বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরে বড় এক অশ্বডিম্ব ব্যতীত আর কোনো প্রাপ্তি বিএনপির হবে না। কিন্তু ইতিবাচক দিক হলো, বিএনপির প্রপাগান্ডা বাহিনীর মিথ্যাচারী মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আগামী দিনে মানুষ এমন সব গুজব আরো সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করবে।

দ্বিতীয়ত, পল্টনে বিএনপি অফিসের মধ্যে ১৬০ বস্তা চাল, কয়েক লাখ পানির বোতল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের মজুদ এবং ৭ ডিসেম্বর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়ক বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে বোঝা গেছে বিএনপি ভয়াবহ এক আত্মঘাতী সংঘাত ও রক্তপাতের পথ বেছে নিয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে একটা শিক্ষণীয় বিষয় হলো এই, আগামী দিনে বিএনপিকে ঢাকা নগরীতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর সভা-সমাবেশের অনুমতি প্রদানের আগে কর্তৃপক্ষকে আরো অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে।

তৃতীয়ত, যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে তা হলো দেশের অভ্যন্তরে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলব, পৃষ্ঠপোষক ও সুবিধাভোগী কিছু বড় মিডিয়া হাউস, কিছু সুচিহ্নিত কথিত সুশীল ব্যক্তিরা বিএনপিকে নৈরাজ্য ও রক্তপাতের পথে ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং উসকানি দিচ্ছে। ১০ ডিসেম্বরের প্রাক্কালে ও অব্যবহিত পরে তাদের বক্তব্য, বিবৃতি এবং পত্রিকায় লেখার মধ্য দিয়ে বিষয়টি একদম স্পষ্ট হয়ে গেছে। চতুর্থত, আমরা যতই কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বলি বা অপছন্দ করি না কেন, বিদেশি কিছু রাষ্ট্র ঢাকায় অবস্থিত তাদের মিশনের মাধ্যমে আগামী দিনে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে একটা পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান নেবে। সেটাও একদম স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এই কথিত নিরপেক্ষ সুশীল ও বিদেশি রাষ্ট্রসমূহ বিএনপিকে যে খুবই পছন্দ করে তা কিন্তু নয়। তারা বিএনপির মাথায় কাঁঠাল ভেঙে বা কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের সেই ওয়ান-ইলেভেনের পুরনো ব্যর্থ মিশনকে আবার বাস্তবায়ন করার পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টায় নেমেছে। কিন্তু দুর্ঘটনাক্রমে পথিমধ্যে বিএনপি যদি ক্ষমতায় এসে যায়, তাহলে তাদের জন্য মন্দের ভালো এই কারণে যে আওয়ামী লীগ সরকারকে দিয়ে যা তারা করাতে পারেনি, সেটা বিএনপি সরকারকে দিয়ে করানো তাদের জন্য অনেক সহজ কাজ হবে।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে আবার জামায়াত, শিবির, ধর্মান্ধ গোষ্ঠীসহ জঙ্গি সন্ত্রাসের উত্থান ও বিস্তার ঘটবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের আবার ‘লক স্টক অ্যান্ড ব্যারেল’সহ বাংলাদেশে প্রবেশ। আর তার মানেই হলো পুনরায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উত্থান। দেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি সন্ত্রাস এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের উত্থানের ফলে দেশ আবার ২০০১-০৬ মেয়াদের মতোই এক পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য পুরনো অভ্যাসমতো আরো কঠিনভাবে রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগকে শেষ এবং দেশকে সম্পূর্ণভাবে হিন্দুশূন্য করার মিশনে বেপরোয়া হয়ে যাবে। অথেন্টিকেটেড জবাবদিহিমূলক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তসহ যুক্তিনির্ভরভাবে কেউ কি বলতে পারবে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সে রকম কিছু ঘটবে না বা করবে না? বিএনপি কি তাদের আগের অবস্থান থেকে ফিরে আসার কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অথবা প্রতিশ্রুতি জাতির কাছে দিয়েছে, দেয়নি। এত সময় যা বললাম তার পরিণতি দেশের জন্য তো বটেই, বিএনপির জন্যও মোটেই ভালো কিছু হবে না। কিন্তু অত্যন্ত হীন উদ্দেশ্যে সেই সুযোগটিই নিতে চাইছে ওয়ান-ইলেভেনের ওই সব দেশি-বিদেশি কুশীলব গোষ্ঠী। অর্থাৎ দেশ একটা দুষ্টচক্রের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে।

বিএনপি ও তাদের উসকানিদাতারা ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে ও পরে একই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তারপর গত ৯-১০ বছরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির সমীকরণে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে, যার ফলে কিছু বিদেশি রাষ্ট্রের একচোখা ও দলকানা অবস্থান যেমন সহজে আওয়ামী লীগ সরকারকে হেলাতে পারবে না, তেমনি গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে অভাবনীয় অগ্রগতির যে সুবিধা বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছে, তাতে এমন ধারণা করার কোনো কারণ নেই যে দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপির নৈরাজ্যের সঙ্গী হবে। বিগত সময়ে অনুষ্ঠিত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনসমূহের দলগত ভোট প্রাপ্তির গড়পড়তা হার এবং দুই দলের নিজ নিজ সরকারের তুলনামূলক পারফরম্যান্স রেকর্ডে বিএনপি এত পেছনে যে তারা ভালো করেই জানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তাদের জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে বিএনপির যে একান্ত সমর্থক ও নেতাকর্মী এবং সংগঠন রয়েছে তাতে চেষ্টা করলে তারা দেশব্যাপী কিছু নৈরাজ্য, সংঘাত ও রক্তপাতের ঘটনা ঘটাতে পারবে। এ পর্যন্ত তাদের স্ট্যান্ড ও কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে তারা সেই পথেই যাচ্ছে। তাতে শেষ বিচারে বিএনপির কোনো লাভ হবে না, পথিমধ্যে কিছু জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, যা হবে সবার জন্য দুঃখজনক।

দেশের অভ্যন্তরে সংঘাত, সংঘর্ষ ও রক্তপাত ঘটাতে চাইলে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানসমূহ সংগত কারণেই অত্যন্ত কঠোর হস্তে সেটি দমন করবে, সেটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে বিএনপি যদি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের সব কিছুকে মনেপ্রাণে ধারণ করে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসত, তাহলে দেশের জন্য যেমন সেটি মঙ্গলজনক হতো, তেমনি বিএনপির জন্যও আগামী দিনে ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। দেশে দ্বিদলীয় গণতান্ত্রিক সুস্থ একটা রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠত। তা যদি হতো তাহলে তথাকথিত নিরপেক্ষ সুশীলরা আর ওয়ান-ইলেভেনের পাঁয়তারা করতে পারত না। বিদেশি কোনো রাষ্ট্রও বাংলাদেশকে নিয়ে টেবিল টেনিস খেলার সুযোগ পেত না।

দেশের প্রায় ৭৩ শতাংশ মানুষ লিখতে-পড়তে পারে। সুতরাং বিএনপির অতীত রেকর্ড ও লিগ্যাসির সব কিছুই এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। বিএনপি সামরিক স্বৈরশাসকের হাতে জন্ম নেওয়া দল। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সামরিক পোশাক পরে রাজনীতি করেছেন। সামরিক পোশাক পরে ‘হ্যাঁ-না’ ভোট করে নিজের পক্ষে ৯৮ শতাংশ ভোট প্রাপ্তি দেখিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে কলুষিত করার পথ দেখিয়েছেন। একাত্তরের পরাজিত জামায়াত-মুসলিম লীগের পুনরুত্থান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তানি পন্থার রাষ্ট্র বানানোর পথ খুলে দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের নব্য বিএনপি ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-০৬ মেয়াদের সরকারের শেষ প্রান্তে শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০০১-০৬ মেয়াদে একেবারে উন্মুক্তভাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছে, যার প্রধান চালক ও পৃষ্ঠপোষক ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টায় বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। একসময় মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানিদের কথারই প্রতিধ্বনি করেছে।

২০০১-০৬ মেয়াদে তাদের সরকারের মন্ত্রীরা বলেছেন, একাত্তরে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির সূচকে বিএনপির এমন কোনো রেকর্ড নেই, যেটাকে বলা যেতে পারে তারা আওয়ামী লীগের থেকে ভালো করেছে। বিএনপির একমাত্র সম্বল দেশে-বিদেশে ভুঁইফোড় কিছু বাংলাদেশি ব্যক্তির প্রপাগান্ডা মেশিন। এই প্রপাগান্ডা মেশিনের মিথ্যাচারও এর মধ্যে মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেছে, তাদের গুজব ছড়ানোর লক্ষ্যও মানুষের কাছে পরিষ্কার। তারা এখন ওয়ান-ইলেভেনের দেশি-বিদেশি কুশীলবদের ওপর নির্ভর করে এগোনোর চেষ্টা করছে। একসময় বিএনপির প্রপাগান্ডার বিষয় ছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশে মসজিদ থাকবে না, মসজিদে উলুধ্বনি শোনা যাবে ইত্যাদি। কিন্তু তার কিছুই হয়নি, বরং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধর্মীয় মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা প্রচার করেছিল পদ্মা সেতু হবে না, কিন্তু পদ্মা সেতু হয়েছে। পদ্মা সেতু যাতে না হতে পারে তার জন্য বিএনপি ও ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানোর সব চেষ্টা করেও তাতে তারা সফল হয়নি। ২০১৪ সাল থেকে বহুবার ঘোষণা দিয়ে সরকার পতনের ধ্বংসাত্মক আন্দোলন করেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং আগামী দিনে তারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবে, অথবা তাদের অসাংবিধানিক রাজনৈতিক দাবি মেনে নিতে বাধ্য করবে, সেটা বোধ হয় পাগল ও শিশু ছাড়া আর কেউ বিশ্বাস করবে না।

বিগত দিনের এসব স্পষ্ট শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত থাকার পরও বিএনপি যদি নৈরাজ্য সৃষ্টির পথে যায় তাতে বিএনপির ক্ষতি ছাড়া অর্জন কিছুই হবে না, মাঝখানে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে আরো কিছু ক্ষতচিহ্নের সৃষ্টি হবে। সুতরাং বিএনপি কী চায়, সেটি বিএনপিকেই ঠিক করতে হবে। তারা কি পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের হাতে জন্ম নেওয়া দলের মতো কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে চায়, নাকি যতটুকু সম্ভাবনা আছে সেটিকে কাজে লাগিয়ে টিকে থাকতে চায়, সে সিদ্ধান্ত কেবল বিএনপিই নিতে পারে।

লেখক : মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) – রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ