1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্র: খাদ্য ও জ্বালানি খাতে গুরুত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নিজেদের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন ঘোষণাপত্র অনুমোদন দিয়েছে। এই ঘোষণাপত্রে কভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা থেকে উত্তরণের নানা কৌশল স্থান পেয়েছে। দেশের খাদ্য ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দলের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল কিভাবে ঘরে তোলা যায়, সে বিষয়েও বিস্তারিত আছে ঘোষণাপত্রে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

দলের একাধিক সূত্র জানায়, ঘোষণাপত্রে মূল আলোকপাত করা হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ওপরে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারেও এ বিষয়টির প্রাধান্য থাকবে।

গত শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেন ঘোষণাপত্র উপকমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। কাউন্সিলররা আগামী তিন বছরের জন্য এই ঘোষণাপত্র অনুমোদন করেন।

ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত একাধিক নেতা জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনার বিস্তারিত স্থান পেয়েছে ঘোষণাপত্রে। ২০০৮ সালে দিনবদলের সনদ, এরপর ডিজিটাল বাংলাদেশ, তারপর গ্রাম হবে শহর—এ ধরনের লক্ষ্য ঘোষণা করে কাজ করেছে আওয়ামী লীগ। এগুলোর মধ্যে দিয়ে যে অর্জন এসেছে সেগুলোকে আরো বেশি জনকল্যাণে ব্যবহার করতে প্রয়োজন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন। ডিজিটাল বাংলাদেশের পুরোপুরি সফলতা পাওয়া যাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন হলে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ঘোষণাপত্র উপকমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে ঘোষণাপত্রের পরিকল্পনার বিষয়গুলো যুক্ত করা হবে। সরকার পরিচালনা ও নির্বাচনী ইশতেহারে বরাবরই আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একটি যুগোপযোগী ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, তেল, গ্যাস ও খাদ্য সংকটে যেন বাংলাদেশ না পড়ে সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু করণীয় ঠিক করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের আবাদযোগ্য কৃষিজমির শতভাগ চাষাবাদ নিশ্চিত করা, কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃষি গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়ার মধ্যে দিয়ে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে নতুন আবিষ্কারে গুরুত্ব দেবে আওয়ামী লীগ।

অর্থনৈতিকভাবে দেশকে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে, দারিদ্র্য কোন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে—এসব বিষয়ে বিস্তারিত কর্মকৌশল তুলে ধরা হয়েছে দলের ঘোষণাপত্রে। ২০২১ সালের পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আছে, সেগুলোর উল্লেখ করা হয়েছে ঘোষণাপত্রে। মুজিব শতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সফল উদযাপনের বিষয়টিও দলের অর্জন হিসেবে ঘোষণাপত্রে দেখানো হয়েছে।

করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিতে গতি আনতে পরিকল্পনার উল্লেখ আছে ঘোষণাপত্রে। বর্তমান বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে যাচ্ছে। এই বিপ্লবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তথ্য-প্রযুক্তি খাত। এই খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রশিক্ষণে নানামুখি উদ্যোগের পরিকল্পনা আছে আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, দলের সভাপতি শেখ হাসিনা শনিবার জাতীয় সম্মেলনে স্মার্ট বাংলাদেশের বিষয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন তার প্রতিটি বিষয়ই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা আছে।

দলের সম্মেলনে বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চারটি ভিত্তির কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্ন্যান্স ও স্মার্ট সোসাইটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার আগামীর বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যেখানে প্রতিটি জনশক্তি স্মার্ট হবে। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মযোগ্যতা—সব কিছুই আমরা ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে করব। ই-এডুকেশন, ই-হেলথসহ সব কিছুতেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হবে। আমি আশা করি, ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা তা করতে সক্ষম হব এবং সেটা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ’

আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ঘোষণাপত্র উপকমিটির সভাপতি ছিলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম। ঘোষণাপত্র উপকমিটির এক সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তিনটা সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্যাস, খাদ্য ও তেল—এই তিনটা। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী খাদ্যের সমস্যা সমাধান করে ফেলেছেন। এ জন্য চিন্তার কোনো কারণ নেই। গ্যাস নিয়েও আমাদের শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তাঁরা মতামত দিয়েছেন, কিভাবে কম মূল্যে গ্যাস কেনা যায়। মানুষের কল্যাণের জন্য যা যা করার দরকার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করা হবে। এ দেশের একটা মানুষও যেন দুর্ভোগে না পড়ে তেমন একটি সুন্দর একটি ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। আগামী নির্বাচনের পরে এই ঘোষণাপত্রের প্রভাব জনগণ বুঝতে পারবে। ’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ