1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

কার্নিভাল ক্রুজ: দ্বীপ জেলা ভোলায় নতুন স্বপ্নের হাতছানি

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

রাজধানীর সঙ্গে ভোলার যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌযান। প্রতিদিন জেলার সদর উপজেলাসহ সাতটি উপজেলা থেকে প্রায় ১৬টি লঞ্চ ঢাকায় যাতায়াত করে। উভয় স্থান থেকে রাতেই এসব লঞ্চ চলাচল করছে এবং ভোরে গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছে।

ভোলার খেয়াঘাট থেকে নৌপথে ঢাকার দূরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার। লঞ্চযোগে যেতে সময় লাগে ১১ ঘণ্টা। তবে কার্নিভাল ক্রুজ নামের এ ফেরিটি যাত্রীও যানবাহনসহ চলাচল করতে শুরু করছে ইলিশা ঘাট থেকে।

এতে ৩০ কিলোমিটার পথ কমে দাঁড়াবে ১২৫ কিলোমিটারে। এর ফলে ভোলা থেকে রাজধানীতে যেতে সময় লাগে মাত্র ৪ ঘণ্টা। এতে শুধু যাত্রী নয়, গাড়ি নিয়েও পারি দেওয়া যায়। তরমুজ, সুপারি, নারিকেল মাছসহ বিভিন্ন পণ্য খুব সহজে ঢাকায় পৌঁছাতে পারবে এই ফেরিটি। তবে এ ফেরিতে গাড়ি পারাপার করলে অধিক ভাড়া গুণতে হচ্ছে বলে দাবি চালকদের।

ঢাকা থেকে ভোলার বোরহানউদ্দিনের উদ্দেশ্যে আসা কাভার্ডভ্যান চালক মো. রিয়াদ জানান, কার্নিভাল ক্রুজ এর মাধ্যমে দ্রুত সময় পারাপার করতে পারলেও এতে ভাড়া গুণতে হচ্ছে অধিক। ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান এর ভাড়া কমানোর দাবি করেন চালকরা।

ইলিশা চটারমাথা মাছ ঘাটের আড়তদার মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আগে ঢাকায় ভোলা থেকে মাছ পাঠালে সময় লাগতো ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা। আর এখন কার্নিভাল ক্রুজ ফেরিতে সময় লাগে মাত্র চার ঘণ্টা। এতে অল্পসময় তাজা মাছ ঢাকায় পৌঁছাতে পারায় দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।

লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের তরিকুল নামের এক তরমুজ চাষি বলেন, আমাদের এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয় কিন্তু ঢাকায় এ তরমুজ পাঠাতে গেলে ইলিশা ঘটে ফেরির জন্য দুই তিন দিনও অপেক্ষা করতে হয়। তাতে এমনও হয়েছে গাড়িতেই তরমুজ পচে গেছে। তবে এখন যেহেতু কার্নিভাল ক্রুজ চলাচল শুরু হয়েছে তাই আর ইলিশা ফেরিঘাটে গাড়িতে তরমুজ পচাতে হবে না। চার ঘণ্টায় পৌঁছাতে পাড়বে আমাদের ফসল। এতে আমরা লাভবান হবো আশা করি।

কার্নিভাল ক্রুজ লাইনের পরিচালক মাসুম খাঁন বলেন, যাত্রীবাহী যানবাহনসহ এ ফেরিটি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ থেকে ভোলায় যাতায়াত করেন। কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টায় ভোলায় ছেড়ে আসে। ভোলার ইলিশা ঘাটে দুপুর ২টায় পৌঁছায়। ইলিশা থেকে রাত ৯টায় ঢাকার উদ্দেশ্য আবার ছেড়ে যায়।

এ ফেরিতে অগ্নিনির্বাপণে উন্নত ব্যবস্থার সংযোজন করা হয়েছে। এবং যেকোনো নৌ-দুর্ঘটনা রোধে আধুনিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন রয়েছে। পাশাপাশি দক্ষ চালক ও যাত্রী সেবায় প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নৌ-বন্দর কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর সঙ্গে ভোলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌযান। কার্নিভাল ক্রুজ নামের এ ফেরিটি দ্রুত সময় পারাপার করছেন। এতে বলা যায় এটি ভোলার মানুষের সুফল বয়ে আনবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ