1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পোশাকশিল্পে নতুন বিনিয়োগ

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩

চট্টগ্রাম ইপিজেডে অবস্থিত চীনের ইয়াকি টেক্সটাইল গ্রুপের মালিকানাধীন বাংলাদেশ স্পিনার্স অ্যান্ড নিটার্স লিমিটেডের (বিএসকেএল) তৃতীয় তলাজুড়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। উন্মুক্ত ফ্লোরে বসানো হয়েছে সিঙ্গাপুর থেকে আনা ১১ লাইনের অটো হ্যাংগিং সিস্টেম। এক মাস ধরে এই অটো মেশিন ব্যবহারে কর্মীদের টানা প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইএনএল ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজির প্রশিক্ষকরা।

বিএসকেএল কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গেল, এই অটো হ্যাংগিং সিস্টেমসহ পুরো কারখানার আধুনিকায়নে নতুন করে প্রায় সাত মিলিয়ন ডলার বা ৭৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে মালিকপক্ষ। যখন বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশের কারখানাগুলো অর্ডার সংকটে ভুগছে, তখন বিদেশি মালিকানাধীন এই সোয়েটার কারখানা জনবল ৫০ শতাংশ বাড়াতে যাচ্ছে।

কারণ জানতে চাইলে কারখানাটির ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ) কামরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘বর্তমানে এই কারখানায় এক হাজার ৩০০ শ্রমিক আছে। কারখানা আধুনিকায়নের কাজ শেষ হলে আরো ৭০০ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। কারখানাকে যেভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, তাতে কর্মী অর্ধেক বাড়লেও আশা করছি তখন উৎপাদনক্ষমতা বেড়ে দ্বিগুণ হবে।

হঠাৎ অসময়ে এমন বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মূলত বায়ারদের চাহিদার কারণে আমাদের এই আধুনিকায়ন। এই মুহূর্তে আমাদের কম্পানির হাতে যে অর্ডার আছে, তাতে উৎপাদনক্ষমতা দ্বিগুণ করা ছাড়া বিকল্প ছিল না।’
আগামী বছর রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩০ শতাংশ আশা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। গত বছর এই কারখানায় মোট ২০ মিলিয়ন ডলারের ৩০ লাখ পিস সোয়েটার রপ্তানি হয়েছে। আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ মিলিয়ন ডলার। কারখানার আধুনিকায়ন ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে সাত মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৭৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। অটো হ্যাঙ্গার, অটো নিটিং, এমব্রয়ডারি ও ওয়াশিং মেশিন এনে সেটআপ করা হচ্ছে। পুরনো সব মেশিনও পাল্টে ফেলা হচ্ছে।

অটো হ্যাংগিং সিস্টেম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরভিত্তিক আইএনএল ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজির অপারেশন ট্রেইনার মো. আসসাদিক হোসেন শুভ বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশ কিছু কারখানায় অটো হ্যাংগিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। তবে বিএসকেএল দেশে প্রথম কোনো সোয়েটার কারখানা, যারা এই সিস্টেম বসিয়েছে।

বিএসকেএল মূলত ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা ও জাপানের বায়ারদের সঙ্গে কাজ করে। মার্ক্স অ্যান্ড স্পেন্সার, এসপিরিট, টম টেইলর, ইউনিকলোর মতো ব্র্যান্ডে সোয়েটার যায় এই কারখানা থেকে।

বিজিএমএইর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সব সময় গার্মেন্টশিল্পে নতুন নতুন প্রযুক্তির পক্ষে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অর্ডার যেমন কমেছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও একই হারে কমে গেছে। এদিকে জ্বালানিসহ আনুষঙ্গিক সব কিছুর দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এই সময়ে যারা এরই মধ্যে অটোমেশন বাস্তবায়ন করেছে, তারা অন্যদের তুলনায় এগিয়ে আছে। তবে যাদের বাল্ক অ্যামাউন্টে অর্ডার আছে, তাদের পক্ষে অটোমেশনে যাওয়া সম্ভব। ছোট কারখানাগুলোর পক্ষে এই খাতে ব্যয় করা সম্ভব না।’

তবে অটোমেশনেও কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী নেতা। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ার পর হয়তো শ্রমিক কম লাগছে, কিন্তু এসব মেশিন মেরামত করার মতো দক্ষ জনবল নেই। এ কারণে আমরা অটোমেটিকের চেয়ে সেমি অটোমেটিক যন্ত্রপাতি বেশি আমদানি করছি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ