নাটোর জেলায় অন্য ফসলের পাশাপাশি বিনা চাষে রসুন উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলাসহ অন্য এলাকায় বিনা চাষে রসুন আবাদ হচ্ছে।
জানা যায়, ধান কিংবা গমের চাইতে এ ফসলে উৎপাদন খরচ কম এবং বেশি উৎপাদনশীল হওয়ায় কৃষকেরা এলাকার পরিবেশের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে রসুন চাষে ক্রমাগত উৎসাহিত হচ্ছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চলনবিল এলাকার কৃষি পরিবেশের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ এলাকার কৃষকরা তাদের নিজেদের জ্ঞান প্রয়োগ করে বিনা চাষে রসুন আবাদ আয়ত্ত করে ফেলেছেন।
বিনা চাষে রসুন উৎপাদন পদ্ধতি
বিল থেকে পানি নেমে গেলে পলি জমা কাদা মাটিতে বিনা হালে সারিবদ্ধভাবে রসুনের কোয়া রোপণ করা হয়। রোপণ শেষে ধানের খড় বিছিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
এর আগে প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ কেজি টিএসপি, ২৫ কেজি পটাশ, ২০ কেজি জিপশাম ও ২ কেজি বোরন সার প্রয়োগ করা হয়। রোপণের ২৫-৩০ দিন পর বিঘাপ্রতি ১৫-২০ কেজি ইউরিয়া সার দিয়ে পানি সেচ দেওয়া হয়।
৫০ দিন পর আবার দ্বিতীয় দফা ১০-১৫ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হয়। রোপণের ১২০-১৩০ দিন পর রসুন উত্তোলন করা যায়।