1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ভোলার গ্যাস: সিএনজি করে সরবরাহের এ মাসে চূড়ান্ত অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

শিল্পে গ্যাসসংকট মোকাবেলায় ভোলার কূপ থেকে চলতি মাসে গ্যাস আনার বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। কূপ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস সিএনজিতে (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) রূপান্তর করে শুরুতে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় দেওয়া হবে।

জ্বালানি বিভাগ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই ভোলার গ্যাস শিল্প-কারখানায় দেওয়া যাবে।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্ত অনুমোদনের পর ভোলা থেকে এই গ্যাস এনে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানিকে দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের কম্পানি ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিমিটেড। শুরুতে দৈনিক পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস আনা হবে, পরে বাড়িয়ে দৈনিক ৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে করা হবে। দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে উদ্বৃত্ত গ্যাস মূল ভূখণ্ডে সিএনজিতে আনা খুবই ব্যয়বহুল হবে। তবে বিশ্ববাজার স্পট মার্কেট (খোলাবাজার) থেকে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চেয়ে অনেকটাই সাশ্রয়ী হবে।

ভোলা থেকে সিএনজি আকারে গ্যাস এনে শিল্পে সরবরাহ করার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পর পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ সদস্যের কমিটিতে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) কামরুজ্জামান খানকে প্রধান করা হয়েছে।

কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘ভোলার গ্যাস সিএনজি করে আনার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এটি চলতি মাসেই চূড়ান্ত অনুমোদন হবে। অনুমোদন দিলে ইন্ট্রাকো কম্পানি গ্যাস সিএনজি করে আনতে সেখানে তাদের অবকাঠামো নির্মাণ করবে। ইন্ট্রাকোর মেশিন ও পরিবহন প্রস্তুত রয়েছে, তাই আশা করছি আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই ভোলার গ্যাস আনা যাবে।’ তিনি বলেন, ‘ইন্ট্রাকো ভোলা থেকে সিএনজি করে এনে তিতাস গ্যাসকে দেবে। তিতাস ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানাগুলোতে সরবরাহ করবে।’

ভোলার গ্যাস সিএনজিতে রূপান্তর করলে গ্যাসের দর কত হতে পারে—এ প্রশ্নের জবাবে কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার সিএনজির যে দর (৪৩ টাকা) রয়েছে, সেই দরেই ভোলার গ্যাস সিএনজিতে রূপান্তর করে আনা যাবে।’

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখন প্রতি ঘনমিটার সিএনজি গ্যাসের দাম ৪৩ টাকা। এই দরে ভোলা থেকে সিএনজি করে আনতে পারলে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির চেয়ে কম দামেই ভোলার গ্যাস আনা সম্ভব হবে। বর্তমানে স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম অনুযায়ী প্রতি ঘনমিটার দর প্রায় ৬২ টাকা। তবে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ যে এলএনজি আমদানি করছে সেই হিসাবে ভোলার গ্যাস ব্যয়বহুল। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ঘনমিটার এলএনজির দর পড়ছে ৩৭ টাকা।

গতকাল রবিবার পেট্রোবাংলা গ্যাস সরবরাহ করেছে দুই হাজার ৬৮৭ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা তিন হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট। দৈনিক গ্যাসের ঘাটতি থাকছে এক হাজার ১১৩ মিলিয়ন ঘনফুট। চাহিদার তুলনায় এই ঘাটতির কারণে শিল্প-কারখানা ও বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংকট চলছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভোলা থেকে গ্যাস আনতে কারিগরি নানা জটিলতা রয়েছে। ব্যয় নিয়েও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে শিল্প বাঁচাতে ব্যবসায়ীদের গ্যাসের মূল্য বেশি পরিশোধে আগ্রহী হওয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জ্বালানি বিভাগ। সে ক্ষেত্রে খরচের বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়ার চেয়ে কত দ্রুত এই গ্যাস শিল্পে সরবরাহ করা যায়, সে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে পেট্রোবাংলা।

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ভোলার কূপগুলো থেকে গ্যাস দেওয়ার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যেকোনো সময় এটা শুরু করা সম্ভব।’

জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে এটি হবে দেশে প্রথমবারের মতো কোনো গ্যাসক্ষেত্র থেকে সরাসরি সিএনজি করে গ্যাস নিয়ে যাওয়া। ভোলায় গ্যাসের মজুদ রয়েছে দেড় থেকে দুই টিসিএফ (ট্রিলিয়ন ঘনফুট)। রাষ্ট্রীয় কম্পানি বাপেক্স ভোলা থেকে এই গ্যাস উত্তোলন করছে। বর্তমানে ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট; কিন্তু সেখানকার শিল্প ও আবাসিক মিলিয়ে গড়ে দৈনিক ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে। বাকি গ্যাস সেখানে ব্যবহার করার সুযোগ নেই। সিএনজি আকারে এই গ্যাস এনে শিল্পে দেওয়া গেলে তা শিল্প খাতে বড় ভূমিকা রাখবে। তবে এই গ্যাস কত দ্রুত আসবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ