ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাদের নেওয়া ৯টি মেগাপ্রকল্পের মধ্যে মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে আরো আটটি মেগাপ্রকল্পের কাজ। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী এসব প্রকল্পের গড় অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বলছে, আট মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের বরাদ্দ রয়েছে তিন লাখ ছয় হাজার ২৬৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পগুলোতে খরচ হয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার ৮৯৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত মোট বরাদ্দের ৬২ শতাংশ খরচ হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প
দেশের সবচেয়ে বড় মেগাপ্রকল্পগুলোর একটি পদ্মা সেতুর কাজ শতভাগ শেষ হয়নি। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৯৬.২৫ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি ৯৪.০৭ শতাংশ।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প
সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে পাবনায় বাস্তবায়ন হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রকল্পটিতে এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৫৯ হাজার ৭০০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি ৫২.৭৬ শতাংশ। ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র
৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে মহেশখালী মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম। প্রকল্পটিতে ব্যয় হয়েছে ২৯ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা। প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৫৭.৭৭ শতাংশ। প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ৭২.২৪ শতাংশ।
মেট্রো রেল
৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬)। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটিতে ব্যয় হয়েছে ২১ হাজার ২১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী এই প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৬৩.৩৬ শতাংশ। ভৌত অগ্রগতি ৭১ শতাংশ।
পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর
চার হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর। এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে তিন হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। আর্থিক অগ্রগতি ৮২.৩ শতাংশ আর ভৌত অগ্রগতি ৮৯.১১ শতাংশ।
পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প
৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পটি। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২৬ হাজার ৩৬৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি ৬৭.২৫ শতাংশ। আর ভৌত অগ্রগতি ৭০.৫০ শতাংশ।
দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গল লাইন ডুয়াল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশ।