চালের অবৈধ মজুত প্রতিরোধে অভিযান চালিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে সারাদেশে জরিমানা করা হয়েছে কয়েক ডজন প্রতিষ্ঠানকে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
এরমধ্যে ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলায় ৩৬টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ফুডগ্রেইন লাইসেন্স না থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মাদারীপুর জেলাতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। ফুডগ্রেইন লাইসেন্স না থাকায় ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খুলনা বিভাগের নড়াইলে একটি মিলকে ১৩ হাজার টাকা এবং চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি বাজারে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চট্টগ্রামের কুমিল্লা জেলায় ১০টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমনের চাল প্যাকেট করে অবৈধ ব্যবসা করায় একটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ফুডগ্রেইন লাইসেন্স না থাকায় জরিমানা করা হয়েছে ৪ হাজার টাকা।
এছাড়া সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালানো হয়েছে।
এদিকে এদিন সর্বোচ্চ জরিমানা এবং বড় অভিযান পরিচালিত হয়েছে দিনাজপুর জেলায়। দিনাজপুর জেলার ৩৬টি চালকল ও ৫০টি আড়ত এবং হাটবাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সদর উপজেলায় মজুতের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় এবং অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত মজুতের অভিযোগে এজন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৬ লাখ টাকা এবং একটি অটোমেটিক চালকলকে ৭ লাখ জরিমানা করা হয়।
বিরল উপজেলায় এজন পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অবৈধ মজুতের অভিযোগে জব্দকৃত চাল ৪৩ লাখ ৪১ হাজার ৭১৬ টাকায় নিলামে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।