1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সাগর থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি সরবরাহ শুরু ২৯ ফেব্রুয়ারি

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সাগর থেকে পাইপলাইনে মহেশখালীতে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরুর পর এবার কালারমারছড়ায় স্থাপন করা স্টোরেজ ট্যাংক থেকে পাইপলাইনে চট্টগ্রাম নগরীতে জ্বালানি পরিবহন শুরু হতে যাচ্ছে। সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের পাইপলাইন কমিশনিংয়ের আওতায় ২৯ ফেব্রুয়ারি এই তেল পরিবহন শুরু হবে।

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লোকমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘২৯ ফেব্রুয়ারি কালারমারছড়া থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত স্থাপন করা পাইপলাইনের কমিশনিং শুরু হবে। ওই দিন প্রথমে সেখান থেকে ডিজেল পরিবহন করা হবে। এরপর ৯ মার্চ থেকে ক্রুড অয়েল পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে। এসপিএম প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা পাইপলাইনের কমিশনিংয়ের অংশ হিসেবে এই জ্বালানি তেল পরিবহন করা হবে। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর সাগর থেকে সরাসরি পাইপলাইনে জ্বালানি তেল নিয়ে আসা হবে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাইপলাইন কমিশনিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর এসপিএম প্রকল্পটির গ্র্যান্ড ওপেনিং হবে। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে তেল পরিবহন। গ্র্যান্ড ওপেনিং কখন হবে সেটি এখনও নিশ্চিত হয়নি।’

ইস্টার্ন রিফাইনারি সূত্রে জানা যায়, এসপিএম প্রকল্পের আওতায় সাগরে জাহাজ থেকে তেল নেওয়া, সেখান থেকে মহেশখালীর কালারমারছড়ায় স্থাপন করা স্টোরেজ ট্যাংকে তেল নিয়ে আসার কমিশনিং কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কালারমারছড়ায় স্থাপন করা যেসব মেশিনারিজ যন্ত্র আছে, সেগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষাও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কালারমারছড়ার স্টোরেজ ট্যাংকে এখন ৮৩ হাজার টন ক্রুড অয়েল এবং ৬০ হাজার টন ডিজেল মজুদ আছে। পাইপলাইন কমিশনিংয়ের অংশ হিসেবে এখন এই জ্বালানি তেলগুলোই ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নিয়ে আসা হবে। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে প্রকল্পটির শতভাগ কমিশনিং কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন সাগর থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নিয়ে আসতে আর কোনো বাধা থাকবে না।

গতানুগতিক পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় গভীর সমুদ্র থেকে সরাসরি পাইপলাইনে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১৫ সালে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প হাতে নেয় ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড। শুরুতে তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও পরে দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়। তৃতীয় সংশোধনী অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন মেয়াদ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হয়।

প্রকল্পটির আওতায় সাগর থেকে মহেশখালীর কালারমারছড়া, সেখান থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ২২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুটি পাইপলাইন স্থাপন করা হয়। এর পাশাপাশি মহেশখালীর কালারমারছড়া এলাকায় তৈরি করা হয়েছে ছয়টি বিশালাকার স্টোরেজ ট্যাংক।

কালারমারছড়া এলাকায় প্রায় ৯০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে এই ছয়টি স্টোরেজ ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে পরিশোধিত তেলের জন্য তৈরি করা তিনটি স্টোরেজ ট্যাংকের ধারণক্ষমতা ১৫০ হাজার ঘনমিটার। অপরিশোধিত তেলের জন্য তৈরি করা বাকি তিনটি স্টোরেজ ট্যাংকের ধারণক্ষমতা ৯০ হাজার ঘনমিটার।

প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার পর গত বছরের জুলাই মাসে ‘এমটি হরে’ নামের একটি তেলবাহী জাহাজ থেকে প্রথমবারের মতো পাইপলাইন দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে জ্বালানি তেল সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তখন পাইপলাইনে ত্রুটি ধরা পড়ায় সাগর থেকে পাইপলাইনে মহেশখালীর কালারমারছড়ায় তেল নিয়ে আসার উদ্যোগটি ভেস্তে যায়।

পরে ত্রুটি সারিয়ে ৩০ নভেম্বর বিকালে ওই পাইপলাইন দিয়ে এমটি হরে জাহাজ থেকে ক্রুড অয়েল সরবরাহ শুরু হয়। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ৫ ডিসেম্বর বিকাল থেকে ডিজেল পরিবহন শুরু হয়। সাগর থেকে তেলগুলো পরিবহন করে সেগুলো কালারমারছড়ায় স্থাপিত এসব স্টোরেজ ট্যাংকে মজুদ রাখা হয়। সেখান থেকে তেলগুলো পরে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নিয়ে আসা হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ