আমাদের যেসব পালাকার, গ্রামীন শিল্পীরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছয়দফা, শেখ মুজিব আর স্বাধীনতা নিয়ে গান বেঁধে প্রচার করতেন- তাঁদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়া হোক।
ধরা যাক, কবি ওসমান গণি’র নাম আপনি নাই জানতে পারেন। সুনামগঞ্জের উত্তর- পূর্ব অঞ্চলে এই মহাজন ছয়দফার গান লিখে গেয়ে প্রচার করতেন। এই অপরাধে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আর্মি তাঁকে হত্যা করে।
আপনি হয়তো বাজার ভোক্তা হয়ে শাহ আব্দুল করিমকে জেনেছেন সেদিন মাত্র কিন্তু বাউল আব্দুল মান্নানের নামও শুনেননি। ১৯৭০ এর অক্টোবর মাসে ভাটি বাংলায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সফরের সময় দিরাই বাজারে আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় গান গেয়ে মাতিয়েছিলেন আব্দুল মান্নান, সফরের বাকী দিনগুলোতে লঞ্চে শেখ মুজিবকে গান শুনাতেন বাউল মান্নান।
মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার বিয়ের অতিথি ছিলেন ভাটির এই বাউল। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তাঁকে একটি পাওয়ার ট্রিলার উপহার দিয়েছিলেন। বাউল একজন কৃষকও ছিলেন। তাঁর ছেলে এখন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ বাজারে অটোরিক্সা চালান।
নগরে শহরে বসে আপনি কারে চিনেন না চিনেন তা দিয়ে বড়জোর আপনার অজ্ঞতা প্রকাশ পেতে পারে, গণমানুষের সাহিত্য সংস্কৃতির তাতে কিছুই যায় আসেনা।
সূত্র – সোশ্যাল মিডিয়া
লেখক : হাসান মোর্শেদ, কলামিস্ট ও গবেষক।