1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জাগ্রত থাকুক’

প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকীতে সমকালের পক্ষ থেকে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই; দেশবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র নেতা, যিনি বাঙালিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। এনে দিয়েছেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। তার দেখানো পথ ধরেই বাংলাদেশ আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে অর্থনীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশ্বে অনেক দেশের কাছেই সে একটা উদাহরণ।

বঙ্গবন্ধু ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক এক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা গড়ার পথে দেশ এরই মধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। শতবর্ষ আগে অখণ্ড বাংলার প্রত্যন্ত পল্লিতে জন্মগ্রহণ করে ধাপে ধাপে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা-দূরদর্শিতা-বিচক্ষণতার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু যেভাবে উপমহাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিয়েছিলেন, তা ছিল অনেকের কাছে এক বিশ্বের বিস্ময়। শুধু উপমহাদেশে নয়; বিশ্বের শোষিত মানুষের পক্ষে তার অবস্থান ছিল দৃঢ়। এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার কোটি কোটি মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার নাম বঙ্গবন্ধু।

মাত্র সাড়ে তিন বছরের রাষ্ট্র পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, আজকের বাংলাদেশ সেই শক্তিশালী ভিতেরই বহিঃপ্রকাশ। বঙ্গবন্ধু যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার শুভসূচনা করেছিলেন; আমাদের খুব দুর্ভাগ্য- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি চক্রান্তে তিনি সপরিবারে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে সে স্বপ্নযাত্রা মাঝপথে থমকে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘ স্বীকৃত একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র- এ কথা অস্বীকার করা যাবে না। ঘাতকের বুলেট বঙ্গবন্ধুকে কেড়ে না নিলে বাংলাদেশ অনেক আগেই এ স্বীকৃতি পেত।

আমরা জানি, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপিত হয় জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্যে যথার্থই বলা হয়েছে- বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার। বঙ্গবন্ধু আপামর মানুষকে ভালোবাসতেন এবং শিশুদের প্রতি তার বিশেষ অনুরাগ সুবিদিত। তিনি সত্যিকার অর্থে শিশুর ক্ষেত্রেও সমান অধিকারের বিষয়টি অনুধাবন করে বাংলাদেশের সংবিধানে শিশুসহ সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সব শিশুর শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতে তিনি যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এবং তা সবার জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শিশুমনে যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন, আজ সেখানেই জোর দেওয়া জরুরি। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলার পাশাপাশি স্বাধীনতার স্থপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানানো প্রয়োজন। দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখে গেছেন, তা জানানো এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেরণার বাতিঘর হিসেবে শিশুদের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পরিচিত করানো দরকার বলে আমরা মনে করি।

বঙ্গবন্ধু কেবল শিশুদেরই নয়, আমাদের সবার শক্তি ও সাহসেরও উৎস হয়ে থাকবেন। আমরা দেখছি, ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু কেবল ক্রমেই উজ্জ্বলতর হচ্ছেন না; তার রাষ্ট্রচিন্তা, তার দর্শন, তার মানবিকতা, তার রাজনীতিও ক্রমে শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু কোনো নির্দিষ্ট দলের নন। তিনি বাংলাদেশেরই অপর নাম। বঙ্গবন্ধুর চিরন্তন আদর্শের পথ ধরে বাংলাদেশ অগ্রগতির চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাবে- এ আমাদের বিশ্বাস। আমরা জানি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ বিশ্ব পরিমণ্ডলে মর্যাদা ও সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। তখন আয়তনে ছোট রাষ্ট্র বাংলাদেশ বৈশ্বিক পরিমণ্ডলের বড় পক্ষ হয়ে উঠেছিল। এমনকি জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ, জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন প্রভৃতি বিশ্ব সংস্থায় বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধুর সেসব অবদান আমরা বিনম্র চিত্তে স্মরণ করি। বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা সবার মাঝে জাগ্রত থাকুক।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ