1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

৬৮ শতাংশ জাপানি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়াতে চায়

বানিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য-সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা-ভাবনা করছে জাপান। এ লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) কিংবা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সম্পাদন এবং উভয় দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকাস্থ জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ প্রস্তাব দেন। আগামী উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশ-জাপান অংশীদারিত্ব শর্ষিক এ সেমিনারে আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়বে। জাপানের সঙ্গেও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার খসড়া নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে তেমন কেউ আগ্রহ দেখায় না। তবে জাপান নিজেই এফটিএ’র আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। বর্তমান সরকার জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও শক্ত করতে চায়। কারণ বর্তমান সরকার জাপানকে মনে করে এশীয় শক্তি। এজন্য দেশটিকে উচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। সাংস্কৃতিক ও মানসিকভাবে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পৃক্ত। মাতারবাড়ি, মেট্রোরেল, আড়াইহাজারে জাপান কাজ করছে। এসব প্রকল্প সম্পন্ন হলে সেগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলবে।

দুর্নীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির সমস্যা অস্বীকার করার উপায় নেই। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার কাজও করছে। নি¤œস্তরের কর্মকর্তারা এ কাজে বেশি জড়িত।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, উন্নত দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। শিল্পকে বৈচিত্রপূর্ণ করতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন প্রযুক্তির সহায়তা নেয়ার প্রয়োজন আছে। জনশক্তির দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজনও আছে। বাংলাদেশের তরুণদের উদ্ভাবনী দিকে জোর দিতে হবে। জাপানের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেসব চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে অবহিত করতে সহযোগিতা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ প্রতি বছর বাড়ছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বেড়েছে ৩ গুনের বেশি। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আগামী দুই বছরে ৬৮ শতাংশ জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা প্রসারিত করতে চায়।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী তার প্রেরিত শুভেচ্ছা বার্তায় বলেছেন যে, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য খুবই আকৃষ্ট জায়গা। দুই দেশের মধ্যে এই সহযোগিতা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর জাপান সফর বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার একটি ভিত্তি ছিল। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা যেকোনও সময়ের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে। অর্থনৈতিক উন্নতি এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ