1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাংলাদেশ – একটি সাফল্যের নাম

মোহাম্মদ এ আরাফাত : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩

করোনাভাইরাসের মহামারীর ও ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। কিন্তু এক্ষেত্রে বিশ্বে যে দেশটি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় স্থিতিশীল রয়েছে সেটি বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক বিশ্লেষক, বিশেষত সমালোচকরা কয়েক শতকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সদূরপ্রসারী আর্থিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, কিন্তু আশার কথা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য এ সংকটের ঝুঁকি প্রায় শূন্য।

বাংলাদেশের গত দুই দশকের অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রমাণ করে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের উন্নয়ন কাঙ্খিত গতিতে সাধিত হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার কর্তৃক একসময় দক্ষিণ এশিয়ার “তলাবিহীন ঝুড়ি” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং লিঙ্গ সমতায় বিশ্বের মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অর্থনৈতিক এ অগ্রগতির অন্যতম একটি কারণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নতিতে সরকারের মনোযোগ। সরকার ১৫০০০০ এর বেশি ভূমিহীন ও নিঃস্ব পরিবারের জন্য ঘর তৈরি করেছে। বাণিজ্যিক সংযোগস্থল হয়ে ওঠা বহুমুখী পদ্মা সেতু সহ অবকাঠামোগত খাতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। মেট্রো ব্যবস্থাকে সম্প্রসারণ করা ছাড়াও উত্তরোত্তর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়া বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ করেছে সরকার। ডিজিটাল অবকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য শক্তি সহ আরও অনেক উল্লেখযোগ্য খাতে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে।

দেশের অর্জিত উন্নয়নগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৯০ সালের তুলনায় বাংলাদেশের মোট মাথাপিছু দেশজ উৎপাদন আটগুণ বেড়েছে। ২০২২ অর্থবছরে $৫২.১ বিলিয়ন ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড অর্জিত হয়েছে।

জাতিসংঘ কর্তৃক শ্রেণিবিন্যাস করা দেশগুলোর মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ায় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ। শুধু এশিয়ায় নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি অগ্রসমান। সম্প্রতি বাংলাদেশ মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনীতি যখন নিম্মমুখী, বাংলাদেশের অর্থনীতি তখন ক্রমবর্ধমান ও গতিশীল।

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর ইকোনমিস্ট জেফ্রি শ্যাস গত বছর ঘোষণা করেন যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি করেছে।

বাংলাদেশের ক্রমাগত অর্থনৈতিক উন্নতি দেশে, বিশেষ করে নারীদের, বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তির ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ স্থান প্রথম। এছাড়া বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ২০১৭ সালে বেড়ে ৩৬.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ১৯৯৬ সালে ছিল ১৫.৮ শতাংশ৷

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে বাংলাদেশ ‘জেন্ডার ওয়েজ’ ব্যবধান ২.২ শতাংশে নামিয়ে এনেছে৷ সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের স্কলার ড্যানিয়েল রুন্ডে উল্লেখ করেছেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রমাণ করে যে নারীর ক্ষমতায়ন কাজ করে।”

শিক্ষা একটি দেশের অর্থনৈতিক শক্তির মূল চালিকাশক্তি। সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৯৫% এ পৌঁছেছে। এর ফলে বড় কোনো খাতে যোগ দেয়ার সক্ষমতাসম্পন্ন একটি কর্মীবাহিনী তৈরি হয়েছে।

শিক্ষিত কর্মীবাহিনী এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের আর্থিক খাত শক্তিশালী হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করোনা মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ যে ঋণ নিয়েছিল, সেটাও একটি শক্তিশালী ও ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির প্রমাণ। এই ঋণগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি ইতিবাচক গতিপথে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতো প্রতিষ্ঠান ঋণ প্রদানে আস্থা রেখেছে। দেশের জিডিপির অনুপাতে গৃহীত ঋণ ও সুদের হার বিশ্বে সর্বনিম্ন।

সম্প্রতি অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা মুডি’র বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোনো অর্থনৈতিক সংকটে নেই। ভবিষ্যত সংকটের সম্ভানাও ক্ষীণ। ব্লুমবার্গের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রত্যাশিত ও প্রয়োজনীয় ভোক্তা, উদ্ভাবন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবৃদ্ধিমুখী নীতির কারণে বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে।

অবশ্যই, বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং সরকারের অনেককিছু করণীয় রয়েছে। দারিদ্র্যের হার কমানোতে দ্বিগুণ প্রচেষ্টা চালাতে হবে, জ্বালানী খরচ কমাতে হবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ যে প্রশংসিত ভূমিকা রেখেছে অব্যহত রাখার পাশাপাশি আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্বে জলবায়ু দূষণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।

এ সকল চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ, যেকোনো মানদন্ডে একটি অসাধারণ সাফল্যের নাম যা থেকে অন্যান্য দেশগুলো অনুপ্রেরণা নিতে পারে৷


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

বঙ্গমাতা পদক বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

প্রেক্ষাগৃহে বিপুল দর্শকপ্রিয়তা নিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক

ভারত থেকে এলো এক হাজার মেট্রিক টন আলু

গুজবের কবলে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক

আলেমরা জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা বলেন না কেন, প্রশ্ন তুললেন আইজিপি

‘তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে?’

অভির ফাঁদে মডেল তিন্নি হত্যা : ১৯ বছর আগের স্মৃতি

তেরো দিনে এলো প্রায় ৯৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স 

স্বপ্নপূরণের ছাড়পত্র পেয়েছেন ‘আয়রনম্যান’ আরাফাত

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়ায় ‘চাকরি হারালেন’ মাদাগাস্কারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী