রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৬ এপ্রিল কাজ বুঝে নিতে চায় সিভিল এভিয়েশন। আর চলতি বছরের অক্টোবরে যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে নান্দনিক এ টার্মিনাল, যেখানে মিলবে সব অত্যাধুনিক সেবা। এটা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।
সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম এ টার্মিনাল। যুগান্তকারী এ পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করে জাপান ও কোরিয়ার তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কোনো জটিলতা বা ভোগান্তি ছাড়াই যথাসময়েই শেষ হচ্ছে এ টার্মিনালের বিস্তৃত পরিসরের কর্মযজ্ঞ।
অবকাঠামো নির্মাণসহ টেকনিক্যাল নানা ধাঁচের ইন্টিগ্রেশন ও ক্যালিব্রেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে। বিশ্ব এভিয়েশন খাত সংযুক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে মান নিশ্চিতে। নির্দিষ্ট সময়েই যেমন কাজ শেষ হচ্ছে, তেমনি বাড়েনি প্রকল্প-ব্যয়ও।
সবকিছু ঠিক থাকলে এপ্রিলের শুরুতেই অত্যাধুনিক কারুকার্যে নির্মিত বিশ্বমানের এ টার্মিনাল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বুঝে নিতে চায় বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী ৫ মাসে বাকি থাকা ছোট-খাট কাজ শেষে অক্টোবরেই আংশিক বাণিজ্যিক অপারেশন শুরুর কথা জানান বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা আগামী ৬ এপ্রিল কাজ বুঝে নেবো। তারপরও কিছু কিছু কাজ বাকি থাকবে। আমাদের পরিকল্পনা, আগামী অক্টোবরে এ টার্মিনালটা চালু করবো। সেটার জন্য আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
দুই লাখ ত্রিশ হাজার বর্গমিটারের বিশাল আয়তনে নির্মিত দেশের প্রথম ও সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির এ টার্মিনাল। এটি নিঃসন্দেহে দেশি-বিদেশি যাত্রীদের মানসিকভাবে দেবে স্বস্তি। আগামী অক্টোবরে চালু হলে বিশ্ব এভিয়েশন খাতে দেশের ইমেজ বাড়বে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ঝড়ঝঞ্ঝা, বন্যা ও বৃষ্টিসহ নানা কারণে বাংলাদেশের প্রায় সবকিছুর ওপর একটি নেতিবাচক প্রভাব আছে। এমন পরিস্থিতিতে এই থার্ড টার্মিনাল বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে খুব সহযোগিতা করবে।
পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সহযোগিতা দেয় জাপানের সরকারি সাহায্য সংস্থা জাইকা।