1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রেখেছে র‌্যাব: শেখ হাসিনা 

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রেখেছে র‌্যাব। এছাড়া বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে পুনর্বাসন করেছে তারা। এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍‍্যাব) মানুষের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে। আর এই সংস্থাটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্ন যে সংস্থাটি (র‍‍্যাব) মানুষের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে তাদের ওপর কিভাবে স্যাংশন আসে। তিনি বলেন, স্যাংশন কখনো একতরফা হয় না, দরকার হলে আমরাও স্যাংশন দিব।

বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍‍্যাব সদর দফতরে সংস্থাটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

র‌্যাবের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তার রোধে র‌্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঈদে কালো টাকা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি এসেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রাখায় র‍‍্যাবকে ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান।

২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে র‍‍্যাব। ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর দিনটিকে ‘রেইজিং ডে’ হিসেবে পালন করে আসছে বিশেষ এই এলিট ফোর্স।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান রাখবে। র‌্যাব এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে র‌্যাবের জোড়ালো অভিযান কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারে এসে ঘোষণা দিয়েছিলাম জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদে জিরো টলারেন্সের। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে র‌্যাব বড় ভূমিক পালন করেছে। দেশে একটি ঘটনা ছাড়া আর কোনো বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, বিরোধী দলও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে চলন্ত বাসে আগুন, পুলিশ পিটিয়ে হত্যা, হাসপাতালে আগুন দিয়েছে। এগুলো মোকাবেলা করে অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রেও র‌্যাবের ভূমিকা রয়েছে। ২৮ অক্টোবরের জ্বালাও পোড়াও করার পরও বিরোধী দল তাদের দায় অন্যের ওপর চালাতে চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু পারেনি।

আসন্ন রোজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রমজান মাস সংযমের। কিন্তু এই মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সংযমের বদলে লোভী হয়ে ওঠে। পণ্য মজুদ করে মূল্য বৃদ্ধিতে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে।

জাল মুদ্রার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঈদ সামনে এলে জাল মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। যদিও অভিযান চলছে, তারপরও এদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত করার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, জলদস্যুরা যেন আবারও বিপথে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদের জীবনের প্রয়োজনে যা দরকার সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের জীবিকার পথ আরও ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ৭৫ এর পর সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এ দেশ জঙ্গিবাদের দেশে পরিণত হচ্ছিলো। এক সঙ্গে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা করা হয়েছিলো। শিক্ষাঙ্গণে ছিলো অস্ত্রের ঝনঝনানি।

বর্তমানে বাহিনীর মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। প্রতিষ্ঠার পর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও স্ব-স্ব এলাকায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে র‍‍্যাব।

র‍‍্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জীবনবাজি রেখে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে সংস্থাটি। র‍‍্যাব দেশে জঙ্গিবাদ নির্মূলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ টানা ৩৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) আমির শায়খ আব্দুর রহমানকে সিলেটের শাপলাবাগ থেকে গ্রেফতার করে র‍‍্যাব। প্রতিষ্ঠার পর এটিই ছিল র‍‍্যাবের সবচেয়ে আলোচিত অভিযান ও সবচেয়ে বড় সাফল্য।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি তাদের শক্তি জানান দেওয়ার পরপরই মাঠে নামেন র‍‍্যাব গোয়েন্দারা। এরপর গ্রেফতার করা হয় সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানিসহ শত শত জঙ্গিকে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জনগণ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সেজন্য সব বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পেরেছে। কিন্তু যারা চায়নি নির্বাচন হোক, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক, শুধু তারা এই নির্বাচনে খুশি হতে পারেনি। কিন্তু মানুষ খুশি হয়েছে। এই নির্বাচনকে অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ