ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায়ের বিরুদ্ধে সাউন্ড সিস্টেম ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে।
সাভারের রেডিও কলোনির মিম সাউন্ড নামে এক দোকানের কর্মচারী এ অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম মো. সোহেল রানা৷ তিনি ওই দোকানের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন৷
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় ভুক্তভোগী দোকানের কর্মচারীকে মুঠোফোনে মাতৃভাষা উৎসব আয়োজনের জন্য সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া করার কথা জানায়৷ তা অনুযায়ী ভাড়া বাবদ ৬০ হাজার টাকা চুক্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে চুক্তি অনুযায়ী ৫ দিন ব্যাপী উৎসবে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি সাউন্ড সিস্টেম সরবরাহ করে দোকানটি৷
লেনদেন এর বিষয়ে জানা যায়, অর্ডার কনফার্ম বাবদ ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮ হাজার টাকা দেওয়া হয় তাকে৷ পরবর্তীতে ১৯ ফেব্রুয়ারি আরও ১০ হাজার এবং আয়োজনের শেষ দিন ২০ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়৷ তবে পরবর্তীতে দুই দিনের মধ্যে পুরো বিল পরিশোধের কথা থাকলেও সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোন যোগাযোগ করা হয় নি তার সঙ্গে৷ পরবর্তীতে বারবার যোগাযোগের পর ২৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আশফার রহমান নবীন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও ৮ হাজার টাকা পাঠায় তাকে এবং ৪-৫ দিনের মধ্যে বিল ক্লিয়ার করার কথা বলে৷ কিন্তু এরপর ভুক্তভোগী একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কেও সাড়া দেয় নি৷
ভুক্তভোগী সোহেল রানা বলেন, ভাড়া বাবদ চুক্তি হয়েছে ৬০ হাজার টাকা, অমত্য দাদা আমাকে ৪ ধাপে মোট আটাশ হাজার টাকা দিয়েছে। আরও ৩২০০০ হাজার টাকা বাকি। দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও টাকা আদায় করতে পারি নি। ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দোকান মালিক আমার বেতন আটকে রেখেছে। আমি গরীব মানুষ, বেতন পাই পনের হাজার, এ টাকা দিয়ে আমার সংসার চলে। কিন্তু বেতন না পাওয়ায় খুবই কষ্টে আছি৷
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, এটা তো ৩/৪ লাখ টাকা না, ৩২ হাজার টাকা মাত্র। এটা তো সাংবাদিকদের পর্যন্ত যাওয়াই কথা না।