1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পাকিস্তানে রোজা নিষিদ্ধ!

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশসহ মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে চলছে পবিত্র রমজান মাস। এই সময়ে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় বিশেষ বিধি-নিষেধ জারি করে থাকে বিভিন্ন দেশ। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই পাকিস্তান। তবে দেশটির সেই বিধি নিষেধের একটি বিষয় নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে সেখানে, চলছে সমালোচনাও। কি সেই নিষেধাজ্ঞা?

রোজা ইসলামের মৌলিক ইবাদতের মধ্যে অন্যতম হলেও, পাকিস্তানে পাইলট ও কেবিন ক্রুদের রোজা না রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির জাতীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স- পিআইএ। বলা হয়েছে, যদি উড়োজাহাজে দায়িত্ব পালন করলে, রোজা রাখা যাবে না।

মুসলিম প্রধান একটি দেশে কেন এই নির্দেশনা তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানাচ্ছে, রোজা না রাখার নির্দেশিকাটি এসেছে পিআইএ-এর ফ্লাইট সুরক্ষা বিভাগের ম্যানেজারের কাছ থেকে। সেই নির্দেশিকাতে বলাও হয়েছে কেন এই বিধিনিষেধ।

এয়ারলাইন্সের সব কেবিন ক্রু সদস্যের কাছে একটি সার্কুলারও পাঠানো হয়েছে। তাতে দেয়া রূপরেখায় বলা হয়েছে, ফ্লাইটে ভ্রমণের সময় রোজা রাখা সম্ভব। তবে এটি ঝুঁকির কারণ হবে পারে। কারণ এটি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা এবং এয়ার-ক্রু মেডিক্যাল সেন্টারের নির্দেশ অনুযায়ী নিরাপত্তার পরিধি কমিয়ে দিতে পারে।

এতে আরও বলা হয়েছে, রোজা সতর্কতা জ্ঞান কমিয়ে দিতে পারে। এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে দুর্বল করতে পারে। আর, এটি জরুরি পরিস্থিতিতে গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। যদি রোজার কারণে জরুরি পদক্ষেপে দেরি হয় বা ভুলভাবে কার্যকর করা হয়, তাহলে পরিণতি গুরুতর হতে পারে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, রোজা যদিও ইসলামে একটি ইবাদত, তারপরও এটি স্বাভাবিক রুটিনকে ব্যাহত করে এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া এবং ডিহাইড্রেশনের মতো শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যা মনোযোগ, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা এবং রিফ্লেক্সেসকে প্রভাবিত করতে পারে।

চিঠিতে ককপিট ও কেবিন ক্রু সদস্যদের কেবল নিজেদের জন্যই নয়, যাত্রী এবং গ্রাউন্ড স্টাফদের দায়িত্বের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিউটিতে থাকাকালীন রোজা রাখা কেবল তাদের নিজের নিরাপত্তার জন্যই নয়, অন্যদের জন্যও ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

পাইলট ও কেবিন ক্রুদের রমজান মাসে রোজা রাখা উচিত কিনা এই নিয়ে কয়েক বছর আগেও পাকিস্তানে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এই বিতর্কের সূচনা মূলত এক বিমান দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ২০২০ সালের মে মাসে, করাচি বিমানবন্দরের কাছে আবাসিক এলাকাতে বিধ্বস্ত হয়েছিলো পিআইএ-র একটি এয়ারবাস।

ওই দুর্ঘটনায় ১০১ জন প্রাণ হারায়। তদন্তে দেখা গেছে, অবতরণের সময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছিলেন পাইলটরা। যে দুই পাইলট বিমানটি চালাচ্ছিলেন, তাদের মধ্যে একজন রোজা রেখেছিলেন। এনিয়ে এতদিন কোন স্পষ্ট নির্দেশ ছিল না। তাই এবার সে সিদ্ধান্ত দিলো পিআইএ।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ