১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছিল বীর বাঙালি। তখন নিরীহ বাঙালিদের সমর্থন না করে উল্টো বিরোধিতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও তার একান্ত আস্থাভাজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা কারো অজানা নয়।
তবে স্বাধীনতার ৫১ বছরে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নিজেদের মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছে । তাই মার্কিন নাগরিকদের মুখে আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের বন্দনা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন সাংবাদিক ড. উইলিয়াম বিল ফিঙ্কল বাংলাদেশে আসেন স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে। যুদ্ধের ছবি তোলা ও সংবাদ সংগ্রহের কাজও করেন তিনি। ড. ফিঙ্কল বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।
মহান এই নেতাকে তুলনা তিনি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতির পিতা জর্জ ওয়াশিংটনের সঙ্গে।
ড. উইলিয়াম বিল ফিঙ্কল মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে থেকে মার্কিন টাইম ম্যাগাজিনের হয়ে কাজ করেছিলেন। তার কণ্ঠে উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লাল-সবুজের উন্নয়নের কথা। এশিয়া মহাদেশে বাংলাদেশ আজ মর্যাদার আসনে পৌঁছেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রবীণ এই মার্কিন সাংবাদিক।
গেলো কয়েক বছরের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়। তাই রাজনীতির নানা সমীকরণে বাংলাদেশকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো।