1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ প্রণোদনার সার-বীজ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আলমগীর হোসেন ওরফে ভাঙ্গারী আলম (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ কৃষি প্রণোদনার ধানবীজ ও রাসায়নিক সার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাতে ওই ব্যবসায়ীর নামে থানায় মামলা করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।

এর আগে সন্ধ্যায় ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে এসব ধানবীজ ও সার উদ্ধার করা হয়।

গঙ্গাচড়া থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গুদাম থেকে দুটি ভ্যানে করে ১২ বস্তা সার ও ১৪ বস্তা ধানবীজ উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বীজ ও সার বহনকারী ভ্যান দুটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের চোখে পড়ে। বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি ভ্যান দুটি আটক করেন এবং চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার প্রশ্নের সদুত্তোর না পাওয়ায় তিনি ভ্যান চালকদের ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে যান।

ইউএনওর কার্যালয়ে ভ্যানচালক মিঠু মিয়া ও শরিফুল ইসলাম জানান, এই সার ও ধানবীজ কৃষকের নয়। এগুলো কৃষি অফিস থেকে নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ী আলমগীর পাঠিয়েছেন।

ভ্যানচালকদের কথা অনুযায়ী ইউএনও নাহিদ তামান্না বিষয়টি গঙ্গাচড়া থানা পুলিশকে জানান। পরে সন্ধ্যায় গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মমতাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আলমগীরের গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার একটি ঘর থেকে খড় দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় আরও ১৫৩ বস্তা উফশী জাতের ধানবীজ ও এক বস্তা পাটবীজ উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের খবরে আলমগীর মিয়াসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।

বাড়ি ও ভ্যান থেকে মোট ১৬৭ বস্তা উফশী জাতের ধান (প্রতি বস্তা ১০ কেজি), এক বস্তা পাটবীজ (কেজির পরিমাণ পাওয়া যায়নি) ও ১২ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি) টিএসপি ও এমওপি সার উদ্ধার করা হয়। ধান ও পাটবীজের গায়ে লেখা ছিল ‘বিক্রয়ের জন্য নহে’।

এদিকে যার কাছে কৃষি অফিসের গুদামঘরের চাবি থাকে সেই উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানকেই মামলার বাদী করা ও কৃষি অফিসারসহ কৃষি অফিসের কাউকেই মামলায় আসামি না করায় উপজেলার কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দ্রুত বীজ ও সার পাচারের সঙ্গে জড়িত উপজেলা কৃষি অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোত্তালিব মিঠু বলেন, কৃষি অফিসের যোগসাজশ ছাড়া সরকারি বীজ ও সার পাচার হওয়া সম্ভব নয়। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফা ইফতেখার সিদ্দিকার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমতাজুল হক বলেন, সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সার উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এর সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে কথা বলে ধানবীজ কীভাবে ব্যবসায়ীর বাড়িতে গেলো তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ