1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মধ্যপাড়া শিলা খনি: এক বছরে রেকর্ড গ্রানাইট পাথর উত্তোলন

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩

দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় দেশের একমাত্র কঠিনশিলা খনির উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ খনি থেকে এক বছরে রেকর্ড গ্রানাইট পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। পরিকল্পনা চলছে আরেকটি খনি উন্নয়নের। বিশ্লেষকরা বলছেন, খনির সক্ষমতা বাড়াতে পারলে বাড়বে রাজস্ব, কমবে আমদানি নির্ভরতা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭৪ সালে ভূগর্ভের ১২৮ থেকে ১৩৬ মিটার গভীরতায় আবিষ্কৃত হয় গ্রানাইট পাথর। বেশ উন্নত মানের হিসেবে বিবেচিত এখানকার পাথর ব্যবহৃত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিমানবন্দরের রানওয়ে, রেললাইন, সড়ক-সেতু অবকাঠামো উন্নয়নসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায়।

তবে সম্ভাবনা জাগানিয়া হলেও অতীতে অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত থাকে খনিটি। ফলে দেশে বার্ষিক এক কোটি ৯০ লাখ টন পাথরের চাহিদা থাকলেও মধ্যপাড়া যোগান দিতে পারছে কেবল ৬ থেকে ৭ শতাংশের মতো। বাকি ৯০ শতাংশের বেশি চাহিদাই মেটাতে হচ্ছে আমদানি করে।
 
এমন অবস্থায় মধ্যপাড়া খনির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হওয়া নতুন চুক্তির প্রথম বছরে রেকর্ড প্রায় ১৪ লাখ টন পাথর উত্তোলন হয়েছে মধ্যপাড়ায়, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দুই লাখ টন বেশি বলে দাবি খনি সংশ্লিষ্টদের।
এছাড়া নতুন আরেকটি খনি উন্নয়নের মাধ্যমে বর্তমানের তুলনায় তিনগুণ উৎপাদন বাড়াতে চান নীতিনির্ধারকরা। সেক্ষেত্রে বর্তমানের সাড়ে পাঁচ হাজার টন থেকে দৈনিক উত্তোলন সক্ষমতা উন্নীত হবে সাড়ে ১৬ হাজার টনে। আর তাতে বছরে প্রায় ৫০ লাখ টনের যোগান দিতে পারবে মধ্যপাড়া।
 
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা খনি উন্নয়নের কাজ করছি। নতুন করে ফিল্ড আমরা তৈরি করবো, নতুন করে শ্যাফ্ট বসাবো। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। আমরা ফিজিবেলিটি স্টাডিও শেষ করেছি।’
 
তবে খনি উন্নয়নে আরও ছয় থেকে সাত বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া জমি অধিগ্রহণসহ নতুন করে বিনিয়োগ প্রয়োজন ৩০০ মিলিয়ন ডলার।
 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন- খনির উৎপাদন বাড়াতে পারলে দেশে পাথর চাহিদার বড় একটি অংশই মেটাতে পারবে মধ্যপাড়া, এতে কমবে আমদানি নির্ভরতা।
ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, ‘মজুতটা প্রচুর। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা বর্তমানে যে খনিটা লাভজনকভাবে চলছে, তেমন খনি আরও দুই-একটা করতে পারলে লাভের অঙ্ক বাড়বে।’  
 
গত বছর বেশ কিছুদিন পাথর উৎপাদনের মূল উপাদান বিস্ফোরকে অভাবে খনি বন্ধ থাকলেও সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, এখন আর সে শঙ্কা নেই।
 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিটি এক সময় লোকসানে থাকলেও এখন লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। এর সঠিক তদারকি এবং পাশাপাশি অন্য খনির উন্নয়নে কর্তৃপক্ষ জোর দিলে তা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ