দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে স্বেচ্ছায় দুই শতাধিক পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসবেন বলে জানিয়েছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। আর ফোরামের নিজস্ব ৬ হাজার ৩০১ সদস্য স্থানীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দুই শতাধিক আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বক্তারা।
সংগঠনের মুখপাত্র ও পরিচালক আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘বিদেশী পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি বহির্বিশ্বে নির্বাচনে গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে না হলেও আমাদের মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষ নির্বাচনমুখী।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অতীতের ন্যায় এবারো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ও স্বেচ্ছায় দুই শতাধিক বিদেশী পর্যবেক্ষক বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আসবেন। এরই মধ্যে প্রায় ১৫টি আন্তর্জাতিক সংগঠন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ, রাজনৈতিক দলের ভূমিকা, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের সহকারী ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চিফ অব স্টাফ, সাবেক কংগ্রেসম্যান, ওএসসিইর সার্টিফায়েড নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ ১০ জন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পর্যবেক্ষণে আসবেন বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জেনেছি।’
এছাড়া যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, ইরাক, জাপান, কঙ্গো, ক্যামেরুন, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী হয়ে স্বেচ্ছায় আবেদন করেছেন বলে জানান আব্দুল জব্বার খান।
তিনি বলেন, ‘ফোরামের সদস্য সংগঠনের ৬ হাজার ৩০১ জন স্থানীয় পর্যবেক্ষক দুই শতাধিক আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।’ সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি নির্বাচনকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলবে। তাদের উপস্থিতি বহির্বিশ্বে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে না হলেও আমাদের মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষ নির্বাচনমুখী।’
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দেশে নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ভোটে আছে ২৭টি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী বলেন, ‘আমরা মনে করছি ৬৫-৭০ শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন স্বচ্ছ হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইএমএফ সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ্ নেওয়াজ, ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
