খেয়াল করেছেন ঢাকার রাস্তার মাঝখানে জেলখানার দেয়াল টাইপ ডিভাইডার করেছে? রীতিমতো মাটির গভীরে পাইলিং করে রড বসিয়া বেড়াছ্যাড়া অবস্থা। তো সেই জেলখানার দেয়াল তুলতে রাস্তার মাঝে যেসব গাছ ছিলো সেগুলারে কু পাইয়া বিদায় দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় নামলে কোথাও ছায়া নাই। আপনার মনে হবে দোজখের তাপ কি এমন? ডিভাইডার নিয়ে এই রাজকীয় ইচ্ছার কারন কি বলেনতো?
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। গাছপালা ভর্তি একটু জায়গা ছিলো… বই মেলা, নানা চত্বর… মঞ্চ কী কী করে যেন ঐটারে ন্যাড়া সিঙ্গীপুর বানাইয়া ফেললো বাণিজ্যমেলা মাঠ নামের বিশাল এক এলাকা ন্যাড়া করছে অনেক আগেই। ওইদিক দিয়া গেলে মনে হয় মরুভুমি সাফারী করতেছি।
এই যে দেশ বিদেশের ছোয়াতে আছে। আপনারা দেখেন খালি গরম। সারাদিন চিল্লাইতেছেন গরম কেন। ঠাণ্ডা কই থেকে আসবে? নিজের বাড়ির এক ইঞ্চি জায়গাতেও আরেকটা রুম বানাইতেছেন টাকা আপনারে ঠাণ্ডা দেবে বলে। টাকা দিয়ে এসি কিনে গায়ে বেধে ঘুরেন। পুরো শহর ধু ধু। কেবল আছে ইট পাথরের গাছ। আমার ক্ষমতা বা সক্ষমতা থাকলে পুরা শহরে কৃষ্ণচূড়া লাগিয়ে দিতাম। আফসোস আমরা কেবল শুটকি হতে পারি বড়জোর… কৃষ্ণচূড়ার মালিক না।
নাজনীন মুন্নির ফেসবুক টাইমলাইন থেকে…