1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আড়িয়ল বিলে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন

মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩

পানি চলে গেলে যে জলজ উদ্ভিদ গুলো জন্ম নিয়ে ছিল সেগুলো পচে জৈব সারে রূপান্তরিত হয়। আর তাতেই মাটি উর্বর হয়ে যায়। মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপনের পরেই বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। এখানকরা উৎপাদিত একেকটি কুমড়া কমপক্ষে ১০ কেজি আর কোনোটা ১৫০ কেজির মতো ওজন হয়। মুন্সিগঞ্জের আড়িয়ল বিলে মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক ফলন হয়েছে। বছরের ৬-৭ মাস পানি থাকায় এই বিলে কোনো কিছু চাষ করা যায় না।

এখানকার উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়ার বীজ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রোপন করে উৎপাদনের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এখানকার মতো আকারে বড় ও সুস্বাদু মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন হয়নি। এ বিলের মাটিতে আলাদাভাবে জৈবসার ব্যবহার করতে হয় না। এখানকার কৃষকরা প্রতিবছর ধানের পাশাপাশি কুমড়া, উচ্ছেসহ নানা রকম সবজি উৎপন্ন করে থাকেন। এখানকার উৎপাদিত কুমড়া রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কুমড়া ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। এতে প্রতিবছর আড়িয়ল বিলে ৮-১০ হাজার মেট্রিক টন কুমড়া উৎপন্ন হয়।

চলতি বছর আড়িয়ল বিলের শ্রীনগর উপজেলার গাদিঘাট, আলমপুর, শ্রীধরপুর, বাড়ৈখালীসহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন অংশে ২২২ হেক্টর জমিতে ৮ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কুমড়া উৎপাদিত হয়েছে।

স্থানীয় কুমড়াচাষিরা জানিয়েছেন, এখানকার কৃষকরা প্রতিবছর শীতের শুরুতে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে আড়িয়ল বিলের উঁচু ভূমিতে মিষ্টিকুমড়ার বীজ বপন করেন তারা। বীজ থেকে চারা হলে ফেব্রুয়ারি-মার্চে এই কুমড়া ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাত করা যায় বাজারে। মিষ্টি কুমড়ার বর্তমান বাজারদর ভালো। জমি থেকে উত্তোলনের পর পাইকাররা ১৮-২২ টাকা দরে কিনে নিয়ে যান। চাষে খরচও কম।

কৃষক আমির হামজা বলেন, বর্তমানে বিল থেকে আমাদের কুমড়া তোলা এখন শেষ পর্যায়ে চলে এসছে। এখন বাজারে কুমড়ার দাম ভালো। এতে আমার মতো বিলের সব কুমড়াচাষিই খুশি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা সান্ত্বনা রানী বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় ফলন কিছুটা কম হয়েছে। এছাড়াও কিছু গাছে ভাইরাসের আক্রমণও হয়েছে। এখানকার একেকটি মিষ্টি কুমড়া কমপক্ষে ১০ কেজি আর সর্বোচ্চ ১৫০ কেজি পর্যন্তও হয়ে থাকে। আমরা কৃষকদের জমি পরিদর্শন করে ভাই’রাসের আক্রমণ রোধে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। আশা করছি তারা তাদের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হাতে পারছেন। কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ