1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খুঁটি ও গোলপোস্ট যেখানে একই

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর সৈকতের পাশের খোলার জায়গার সাদা বালুতে পোতা কংক্রিটের ছয়টি খুঁটি। খুঁটিগুলোর একপাশে বাঁধের মতো বালুর ঢিবি। অন্যপাশে বেশ খানিকটা খোলা জায়গা। সেখানে ফুটবল খেলে শিশুরা। খেলার দলের সংখ্যা বেড়ে গেলে সেই কংক্রিটের খুঁটিগুলোকেই গোলপোস্ট হিসেবে ব্যবহার করে তারা। অথচ সেই খুঁটিগুলোতে বেঁধে দেশটির ‘গুরুতর অপরাধীদের’ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় গত কয়েক দশক ধরেই।

ভারত মহাসাগরের তীরের ওই জায়গাটিতে গত বছরও অন্তত ২৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই খুঁটিতে বেঁধে কালো কাপড়ে চোখ আটকে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন তাদেরও মুখ ঢাকা থাকে কালো কাপড়ে।

বিবিসি বলছে, আলোচিত এই ফায়ারিং স্কোয়াডে মূলত সামরিক আইনে সাজাপ্রাপ্তদের বিচার কার্যকর করা হয়। গত কয়েক বছরে আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজনের মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সেখানে। তবে সবশেষ গত ৬ মার্চ সেখানে এক ব্যক্তির মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যিনি তার স্ত্রীকে একটি ঘরে আটকে রেখে পুড়িয়ে হত্যা করেছিলেন। সৈয়দ আলী মোয়ালিম দাউদ নামের ওই ব্যক্তির অবশ্য দাবি ছিল, স্ত্রী তার কাছে তালাক চাওয়ায় তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে আদালত শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুদণ্ড দেয়। আর হামার যাবাব নামের এলাকার সেই ফায়ারিং স্কোয়াডে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পরে তার মরদেহ বেশকিছু সময় সেখানে রেখে দেওয়া হয়।

বেশিরভাগ মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয় সাধারণত সকাল ৭ থেকে ৮টার মধ্যে। সে সময় খবর দেওয়া হয় স্থানীয় সাংবাদিকদের। অবশ্য সাধারণ মানুষজনকেও সেখানে গেলে বাধা দেওয়া হয়। শিশুরাও দাঁড়িয়ে দেখে সেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য। বিবিসি বলছে, সাধারণ মানুষ যেন সেই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে পারে এজন্যই সকালের ওই সময়টা বেছে নেওয়া হয়। কখনো কখনো এমনও হয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরও খুঁটির সঙ্গেই দীর্ঘ সময় ধরে বেঁধে রাখা হয় মরদেহগুলো। পরে সৈকতের আশপাশেই কবর দেওয়া হয় তাদের।

বিষয়টি নিয়ে কোনো কোনো বাসিন্দার মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও বেশিরভাগের অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন সকালে কোনো গুলির শব্দ শুনলেও তাদের মনে হয় মাঠের পাশের সেই খুঁটিতে বাঁধা কারও প্রাণ পাখিটা উড়ে গেল এখনই।

বিবিসি বলছে, অনেকের কাছে বিষয়টি বিস্ময়কর হলেও ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সেটা খুবই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে। এমনকি মৃত্যদণ্ড কার্যকর করার পরে রক্তে ভিজে যাওয়া বালুর মধ্যেই ফুটবল নিয়ে ছুটে বেড়ায় শিশুরা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ