পদ্মাসেতু পথে বসিয়ে দিল অসংখ্য পরিবারকে!
২৫ জুনের পরে পদ্মা নদীর মাওয়া ঘাটে আর লঞ্চ চলবে না, স্পিটবোট চলবে না, ফেরিতে গাড়ি উঠবে না। বন্ধ হয়ে যাবে ঘাটের দু’প্রান্তের অগনিত হোটেল, দোকান, জুতো সেলাই, বুট পালিস, ফেরিওয়ালা আর কুলিদের কর্মযজ্ঞে। বাটপার, ঠকবাজ, পকেটমার, মাস্তান, প্রতারকচক্র, দালালচক্র, মলমপার্টি, অজ্ঞান পার্টি, মাদ্রাসা মসজিদের নামে টাকা হাতানো পার্টিসহ সকল দুষ্টুচক্র পথে বসে যাবে কাস্টমারের অভাবে। বেকার হয়ে পড়বে বিশাল এক জনগোষ্ঠি।
শুধুমাত্র পদ্মাসেতু চক্রান্তের ফলে বেকার হয়ে পথে বসে যাবে অগণিত মানুষ। না খেয়ে কষ্ট পাবে শিশু-কিশোরসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা।
পদ্মাসেতু হাসিনাচক্রের জন্য উন্নয়ন ও যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচন হলেও ঘাটকেন্দ্রিক মাফিয়াচক্রের জন্যে যে কত বড় অভিশাপ তা মাফিয়াপ্রমিক মাত্রই অনুধাবন করতে পারে।
প্রতারকচক্র, মাফিয়াচক্র, দালালচক্রসহ যাদের আয়ের পথ পদ্মাসেতুর কারণে রহিত হতে চলেছে সেইসব চক্রের পরিবার পরিজনদের কথা ভেবে তাদের জন্যে ভাতার ব্যবস্থা করা মানবিকভাবেই অতি জরুরী। পদ্মাসেতুর আয় থেকেই তা করা যেতে পারে।
বেকার হতে চলা চক্রসমূহের কথা যিনি সবার আগে স্মরণ করে পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চক্রসমূহকে মানবিকভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন সেই নেত্রীর নামটি ভাতাগ্রহিতাদের তালিকার এক নম্বরে রাখা সময়ের দাবিমাত্র। তা না রাখলে বড় অবিচার করা হবে।
রম্য লেখক : ফরহাদ হোসেন – চেয়ারম্যান, সেল্ফ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ।