1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

‘সাম্মাম’ চাষ করে কৃষকের বাজিমাত

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০২৩

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কৃষক মণ্ডল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যের ফল সাম্মাম চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সাম্মাম ফল বেশ জনপ্রিয়। ঠাকুরগাঁও জেলার আবহাওয়া অন্য জেলাগুলোর তুলনায় আলাদা বলে প্রায় সব ধরনের শস্য, সবজি ও ফলের আবাদ হয় এখানে। ফলটি দেখতে দেশীয় ফল বাঙ্গির মতো, ইংরেজি নাম রকমেলন, খেতে খুবই মিষ্টি, রসালো ও সুগন্ধযুক্ত।

ইউটিউবে দেখে এই সাম্মাম ফলটি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক মন্ডল ইসলাম। জেলার পীরগঞ্জে শিমুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মণ্ডল ইসলাম। পীরগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকায় ভাতারমারি ফার্মের পশ্চিম পাশে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ‘সাম্মাম’ ফলটির চাষ শুরু করেন তিনি।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার দ্বিতীয়বারের মতো ‘সাম্মাম’ চাষ করা হচ্ছে। এবার ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট ২ একর জমিতে ‘সাম্মাম’ চাষ করা হচ্ছে।

‘সাম্মাম’ নামের এই ফলটির চাষ সচরাচর ঠাকুরগাঁও জেলায় করতে দেখা যায় না। এই ফলটি চাষ করতে খরচ একটু বেশি হয়। মাটির উপরে মালচিং বিছিয়ে ফলের চারা রোপণ করা হয়। আর ছিদ্র করা মালচিংয়ের ফাঁক দিয়ে গজিয়ে ওঠে এই ফলের গাছ। চারা রোপণের মাত্র ৬০-৭০ দিনের মধ্যে রকমেলন বা সাম্মাম ফল কাটা যায়।

কৃষক মণ্ডল ইসলাম আরও বলেন, ইউটিউবে ভিডিও দেখে সাম্মাম ফল চাষ করার পরিকল্পনা করি। এটির চাহিদা ও বাজার মূল্য ভালো। মূলত লাভের আশায় এই ফলটি চাষ শুরু করেছি। তিন বিঘা জমিতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে এখন পর্যন্ত ২ লাখ টাকা বিক্রি করেছি। আগে ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিয়ে সাম্মাম বিক্রি করেছি। এখন ক্ষেত থেকেই পাইকার এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এখনও স্থানীয়ভাবে এই ফলের বাজার তৈরি হয়নি। তবে নতুন এই ফলটি ঢাকার বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সাম্মাম বা রকমেলন ফলটি সর্বনিম্ন ৫০০ গ্রাম থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। ফলটি প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হয় বাজারে। আরও ২ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন , কৃষকরা এই ফলটির চাষ সম্প্রসারণ করলে তারা যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। তেমন অন্যদিকে পুষ্টি চাহিদা পূরণে ও বাজারে নতুন ফলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। আমাদের দেশে এটি নতুন এলেও সুপার শপগুলোতে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সদর উপজেলার এক কৃষক এর আগেও সাম্মাম চাষ করে ভালো দাম ও সাড়া পেয়েছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার আবহাওয়া সাম্মাম চাষে উপযোগী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের এই বিষয়ে যথাযথ সহায়তা প্রদান করা হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ