1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ঐক্যবদ্ধ থেকেই দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২২ মে, ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দেশের আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে, লক্ষ করা যাচ্ছে কোনো কোনো দেশের ‘অতি’ আগ্রহও। যেখানে ‘অতি আগ্রহ’ সেখানে ষড়যন্ত্রের গন্ধও থাকে। গভীরভাবে লক্ষ করলে তা স্পষ্ট বুঝা যায়। কিন্তু এদেশের মানুষ আত্মমর্যাদা জলাঞ্জলি না দিয়ে সবসময় নিজেদের সর্বোচ্চ সচেতনতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এটাই ইতিহাস। আমরা ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন নই- ইতিহাসের ধারাবাহিকতা মেনে নিয়েই বাঙালি জাতি পথ চলে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অসীম ত্যাগ, তিতীক্ষা, মেধা, মনন এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কাতারে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুসহ মেগা-প্রকল্পসমূহের অনেকগুলোই বাস্তবায়িত হয়েছে, কয়েকটি বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এমনকি মানুষের গড় আয়ুও বৃদ্ধি পেয়েছে শেখ হাসিনার বিগত একযুগেরও অধিক সময়ের শাসনামলে। সাফল্য অর্জিত হয়েছে কৃষি, শিল্প, ব্যবসায়-বাণিজ্যে। রেমিটেন্সের স্থিতি বর্তমানে কিছুটা হ্রাস পেলেও তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতিই সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু একটি বিশেষ মহল রেমিটেন্স প্রবাহ ও স্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের কঠোর পরিশ্রম ও রূপকল্প বাস্তবায়নে সুপরিকল্পিত অধ্যাবসায়ের এই অর্জনকে কোনোভাবে ম্লান করা যাবে না- একথা সাধারণকে মনে রাখতে হবে। বিগত চৌদ্দ বছরের অভাবিত উন্নয়নের সুফল মানুষ ভোগ করতে শুরু করেছে এবং মনে রাখতে হবে এর ধারাবাহিকতাও রক্ষা করতে হবে। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার ব্রত গ্রহণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে জাতীয় বিপর্যয়ের অন্ত থাকবে না। ওপরে বর্ণিত এসব বক্তব্য আমরা বলি বটে কিন্তু আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে সেই প্রত্যয়ী মনোভাবের প্রতিফলন কমই দেখি! চারদিকে চিরচেনা অস্থিরতাই বেশি চোখে পড়ে! দেখি অনেকের মধ্যেই ‘আখের’ গোছানোর প্রস্তুতি! ‘আখের’ গোছানোর এই দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা- আদার বেপারি থেকে জাহাজের কারবারি সবাই!

বলার অপেক্ষা রাখে না দ্রব্যমূল্যই বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস করছে। সাম্প্রতিককালের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে এদেশের মানুষ ধারণা রাখেন। তাই কষ্টকর হলেও ন্যায়সঙ্গত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে মেনেও নেন। কিন্তু এদেশীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের জন্য চাহিদার যোগান সত্তে¡ও প্রতিনিয়তই অনেক পণ্যের অসঙ্গত মূল্যবৃদ্ধি সাধারণকে সরকারের প্রতি বিরূপ-ভাবাপন্ন করছে। নিকট সাম্প্রতিকালের ডিম, ভোজ্যতেল কিংবা চিনি সর্বক্ষেত্রেই তার বড় বড় প্রমাণ চোখে পড়ছে। শুধু কি তাই পেঁয়াজ, আলু, আদা প্রভৃতি নিত্যপণ্যের মৌসুমের মধ্যেই আকাশচুম্বি দামে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকায় নিত্যই নাভিশ্বাস তৈরি হচ্ছে। দ্রব্য মূল্যের অযৌক্তিক ঊর্ধ্বগতি দেখে মাঝেমধ্যে মনে বিস্ময় জন্মে! ভাবি, আওয়ামী লীগে কী ডিম, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ কিংবা আদার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধি নেই? ‘আওয়ামী’ নামে কত কত ‘লীগ’ নামক সংগঠন আমরা দেখি! সেখানে ‘আওয়ামী ডিম দোকানদার লীগ’, ‘আওয়ামী তেল দোকানদার লীগ’, ‘আওয়ামী চিনি দোকানদার লীগ’, ‘আওয়ামী পেঁয়াজ দোকানদার লীগ’ কিংবা ‘আওয়ামী আলু দোকানদার লীগ’ ইত্যিাদি নামের কোনো সংগঠন নেই তা ভাবা যায় না! যদি সে রকম কিছু থেকে থাকে তবে কেন নিত্যপণ্য নিয়ে প্রত্যহই লঙ্কাকাণ্ড?

দেশকে শ্রীলঙ্কা বানানোর ষড়যন্ত্রই যদি না হবে তবে বর্তমান মেয়াদের প্রায় শেষ সময়ে ব্যবসায়ীরাই সরকারকে কেন বারবার বেকায়দায় ফেলবে? সরলভাবে এসবকে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই আমাদের মনে হয়। আওয়ামী লীগের মধ্যে সাংগাঠনিক শৃঙ্খলার অভাবেও ষড়যন্ত্র ডালপালা বিস্তারের সুযোগ পায়। দলটির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যেও সময় সময় নানা রকমের বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। তাদের মধ্যেও ‘আখের’ গুছানোর প্রস্তুতি!

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও ইদানীং মূল ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরে কথা বলছেন। দলের পরিচয় ‘ব্যবহার’ করে আর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এক শ্রেণির সুবিধাভোগীরা নিজেদের স্বার্থই হাসিল করছে। এতে সাধারণের আবেগ-অনুভূতিতে যেমন আঘাত লাগছে তেমনি দলের প্রতি অনুগত নিঃস্বার্থ কর্মীরাও হতাশ বোধ করছেন, আহত হচ্ছেন, ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কোনো কিছুই ‘রাখঢাক’ করে রাখা যায় না- মূলধারার গণমাধ্যমে না এলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসবের প্রকাশ জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়াই সৃষ্টি করে। দলটির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যেমন লাগামহীন তেমনি তাদের কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য সাধারণ মানুষকে আহত করে চলেছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসবের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব ও বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা নিয়ে আমাদেরকে কিছুটা হলেও শঙ্কিত করে।

দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে যে কোনো দলের বিরুদ্ধেই তুচ্ছ বিষয় নিয়েও সাধারণের মধ্যে অসন্তুষ্টি তৈরি হতে থাকে। একদিকে চাপা অসন্তোষ অপরদিকে দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের লাগামহীন ও অসংলগ্ন আচরণ যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেয়! আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভুলেই গেছেন, তাদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে চলছে ষড়যন্ত্র- শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র! তাই জনমনে আওয়ামী-বিদ্বেষী মনোভাব জাগিয়ে তোলার জন্য চিত্তাকর্ষক ‘প্রোপাগান্ডা’ ছড়ানো হচ্ছে একের পর এক! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশ্লেষণে বুঝা যায় দেশের ভেতর ও বাইরে শেখ হাসিনাকে সরানোর কী আপ্রাণ চেষ্টাই না তারা চালাচ্ছে! নানা রকমের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সাধারণের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটানোর জন্য সূক্ষ্মকৌশলে তারা এগোচ্ছে! বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণের চেষ্টায়ও তারা তৎপর! এরূপ তৎপরতা আর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যখন সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্য প্রয়োজন তখন ক্ষুদ্র-স্বার্থ চরিতার্থতার জন্য নিজেরাই হানাহানিতে মত্ত! অসঙ্গতিমূলক কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত ভূমিকা রেখে গণধিক্কারে নিজেদের পাল্লা ভারি করতেই যেন তারা বেশি মনোযোগী, আশ্চর্য! অথচ এসব নেতাকর্মীরা গভীরভাবে ভেবেও দেখেন না যে, শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় না থাকলে তাদের ভবিষ্যৎ কী!

ছাত্রলীগ বাংলাদেশের একটি অনন্য ও ঐতিহাসিক সংগঠন। সংগঠনটি ভালো ভালো কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক জনপ্রত্যাশা। এবারো বুরো মৌসুমে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকের ধান কেটে দিয়ে, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সহযোগিতায় প্রশংসা অর্জন করেছেন। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় নানারকম সমালোচনামূলক কাজের জন্ম দিয়ে তারাও একদা ঘৃণিত ছাত্রদলেরই অনুসারী হয়েছে- ছাত্রদলের যেসব তাণ্ডব দেখেছি তারই ছায়া যেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর মধ্যেও মাঝেমধ্যে প্রতিফলিত হয়! ছাত্রলীগমাত্রই খারাপ সেকথা নয়- কিন্তু কারো কারো আচরণে সাধারণের মনে ক্ষুব্ধতাই বেশি জন্ম নেয়। এর কারণ ‘মিডিয়া’। অনেক সময় ছাত্রলীগ আবার মিডিয়া ট্রায়ালেরও শিকার হয়! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সব সংবাদ সত্য নয় সেও সবার জানা। এর অধিকাংশেরই কোনো ভিত্তি নেই। কিন্তু ছাত্রলীগের ভাগ্যে মিডিয়া ট্রায়াল ঘটে যায়! ফলে, পাঠক, দর্শক ও শ্রোতার অবচেতনে ছাত্রলীগ সম্পর্কে নিয়মিত এক ধরনের নেতিবাচক মনস্তত্ত্বই গড়ে উঠতে থাকে।

সমাজের শুভ ও কল্যাণকর কাজেও ছাত্রলীগ অংশগ্রহণ করে। ছাত্রলীগ কর্মীরাই দুর্গম অঞ্চলে বন্যার্তদের জন্য সাহায্য নিয়ে যায়, কৃষকের নষ্ট হতে-যাওয়া মাঠের ফসল কেটে ঘরে পৌঁছে দেয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের পানীয়-জল সরবরাহসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে। এসব ভালো কাজ। এর জন্য বলা-কওয়ার কী আছে- এর প্রচার-প্রচারণারই বা কি আছে? কোনো কোনো মহলের এমনটিই দাবি! ছাত্রলীগের এসব সমাজহিতৈষী নানা কর্মকাণ্ডে মানুষ উপকৃত হয়- কিন্তু প্রচার নেই! অপরদিকে, নেতিবাচক কর্মকাণ্ড প্রচার-গুণে সাধারণের কাছে সামাজিক ‘ভিলেন’-এ পরিণত হয় ছাত্রলীগ! তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ বিব্রত হয়, বিব্রত হন প্রধানমন্ত্রীও। ছাত্রলীগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উচ্চাশা প্রায়শই সামাজিকভাবে ধুলিস্মাৎ হয়! অন্তত মিডিয়া পর্যালোচনা তাই বলে! এমনও দেখা যায় ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক নানা অনুষঙ্গেও সংগঠনকে মিডিয়া ট্রায়ালে ফেলে দেওয়া হয়! সব অন্যায়-অপরাধকে একটা রাজনৈতিক চেহারা দিয়ে ছাত্রলীগ ও সরকারের ‘ভাবমূর্তি’ বিনষ্টের পরিকল্পিত অপপ্রয়াসও বর্তমানে সক্রিয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব ঘটনার গায়ে কত বর্ণের রঙ জড়ানো হবে তারও ইয়ত্তা নেই!

মনে রাখা জরুরি, চলতি মেয়াদের শেষ সময়ে আছে সরকার। তাই অনেকে ‘তিল’কে ‘তাল’ বানিয়ে সরকার বিরোধী মনোভাব চাঙা করার বিশেষ প্রকল্প নিয়েই মাঠে নেমেছেন বিশেষ বিশেষ মহল। ছাত্রলীগ বা যুবলীগ সম্পর্কে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে, মিডিয়া ট্রায়ালে ফেলে তারা মনস্তাত্ত্বিক সুবিধাও নিবেন সাধারণের নিকট থেকে! এতে আওয়ামী লীগও মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হবে! এ সময়ে তাই সরকারি দল হিসেবে ক্ষমতার দাপট প্রদর্শনের পরিবর্তে সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন অবস্থানে থাকতে হবে- শুধু ছাত্রলীগ বা যুবলীগই নয় মূল দলের নেতাকর্মীসহ মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এদেশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ রহিত করেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে, বিচার করেছে যুদ্ধাপরাধেরও। যুদ্ধাপরাধের বিচারের মাধ্যমে দেশের ‘বাঘা বাঘা’ অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। সবচেয়ে বড় কথা বিএনপি-জামায়াত জোট দীর্ঘদিন ক্ষমতার সাধ থেকে বঞ্চিত আছে! উপরন্তু, বিএনপির চেয়ারপার্সন এবং সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী। নানা অপরাধে বিএনপি-জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মী বিদেশে আস্তানা গেড়েছেন। তারা যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনাও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের এবিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন, মেগা-উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বের বিরাট সাফল্য! এই সাফল্যের জন্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব প্রায় অস্তিত্বহীন! এরূপ পরিস্থিতি আওয়ামী লীগের জন্য ইতিবাচক ও সুখকর হলেও অন্যান্য দলের জন্য নিতান্তই কষ্টের! তাই বিভিন্ন নামের সামাজিক ও রাজনৈতিক এমনকি মানবাধিকার সংগঠন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একপ্রকার ‘আদা-জল’ খেয়ে নেমেছে! তারা সরকারের ছোট ছোট ব্যত্যয়গুলোকে বড় বড় করে প্রচারের মাধ্যমে জনমনে হাসিনাবিরোধী অসন্তোষ তীব্র করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। যুদ্ধাপরাধ, বঙ্গবন্ধু হত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনড হামলা এবং বিদেশে অর্থপাচার প্রভৃতি চাঞ্চল্যকর মামলায় দণ্ডিত ব্যক্তিবর্গের পরিবার ও দলীয় সমর্থকগণ দেশ-বিদেশে বসে নানাভাবে সরকারের ছিদ্রান্বেষণে ব্যস্ত। সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য এরা আবার বিদেশি কিছু সঙ্গীসাথিও ‘ম্যানেজ’ করেছেন- যারা বাংলাদেশে মানবাধিকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রভৃতি বিষয়ে বিভিন্ন ফোরামে ‘পেপারকাটিং’ সরবরাহ করছেন! কতভাবেই না তারা বর্তমান মেয়াদকালের শেষ সময়টুকু অস্থির করার অপচেষ্টায় মত্ত হয়েছেন! তারই নমুনা সামাজিক গণমাধ্যমে আমরা নিত্য দেখছি। এসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীসহ আওয়ামী লীগের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই- ঐক্যেই শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। ঐক্যবদ্ধ থেকেই দেশ-বিদেশের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকেই শক্তিশালী রাখতে হবে।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ