1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

টানা ৩৭ দিনের তাপপ্রবাহ শেষে স্বস্তি 

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

টানা ৩৭ দিন পর দূর হলো তাপপ্রবাহ। গত ৩১ শে মার্চ তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছিল, যা মঙ্গলবার (৭ মে) দূর হলো বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সর্বশেষ গতকাল সোমবার গোপালগঞ্জ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল খেপুপাড়ায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ মার্চ রাজশাহী ও পাবনায় মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ১৩ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় রাঙ্গামাটিতে। ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। ওইদিন চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়।

এরপর সারাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল বৃষ্টিহীন হয়ে পড়ে। কালবৈশাখিরও দেখা মেলে না। সর্বশেষ ঢাকায় বৃষ্টি হয় ১৭ এপ্রিল। সারাদেশের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে।

২০ এপ্রিল বিভিন্ন জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে অর্থাৎ তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করে। ওইদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়। মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ প্রায় সারাদেশে বিস্তৃত হয়। এ সময়ে জনজীবনের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

২৯ এপ্রিল ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যেটি ছিল চলতি মৌসুমে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া ৩০ এপ্রিল যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠে, যা ছিল ১৯৮৯ সালের পর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

মে মাস শুরু হওয়ার পর ঝড়-বৃষ্টি বেড়ে কমতে থাকে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও আওতা। ঢাকায় বৃষ্টি হয় ২ মে রাতে। বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখি ঝড় হতে থাকে অন্যান্য অঞ্চলেও। তাপমাত্রা ক্রমে কমে শেষে সারাদেশ থেকেই দূর হলো তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, গত ৩১ মার্চ দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। আজকে আর দেশের কোথাও তাপপ্রবাহ বইছে না।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা, সেটি আগামী ১৩/১৪ মে পর্যন্ত থাকতে পারে। তখন হয়তো কোথাও কোথাও কিছুটা গ্যাপ হতে পারে। তবে একেবারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল বৃষ্টিহীন থাকবে এমন নয়। আগামী ২০ মে পর্যন্ত তাপমাত্রা তেমন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে চলতি মাসের শেষ দশকে কি হবে সেটি আরও পরে বলা যাবে।’

আবহাওয়াবিভাগ জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

মে মাসের প্রথম ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৮১ কোটি ডলার

প্রাণিসম্পদের টেকসই উন্নয়নে একক ডিগ্রি চালু করা প্রয়োজন

খাদ্যনিরাপত্তা বাড়াতে জরাজীর্ণ খাদ্যগুদাম সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

ঋণ পাবে কৃষক: খাদ্য নিরাপত্তায় ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটায় অর্ধলাখ টাকা জরিমানা ও খননযন্ত্র জব্দ

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ‘কোবে বিফ’ বাংলাদেশে বিক্রি চায় জাপান

ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড চায় না বিএনপি : গণতন্ত্রের অভাবে ধর্ষণ হয়: ফখরুল

মামুনুলের বহিষ্কার চান হেফাজতের বড় একটি অংশ

‘ধর্ম অবমাননা’ শব্দটি যখন ধর্ম ব্যবসার পুঁজি

দেশের অ্যাভিয়েশন খাতের উন্নয়নে কাজ করবে যুক্তরাজ্য