1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মৌলবাদের বিরুদ্ধে বুয়েট শিক্ষার্থীদেরই লড়াই করতে হবে

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

বুয়েটের শিক্ষার্থীদের যে কোনো আন্দোলনের সময় একটি বিষয় লক্ষণীয়। অভিযোগ আছে, তাদের সব কর্মকাণ্ড মৌলবাদী সংগঠন জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত ফেসবুক পেজ বাঁশের কেল্লা থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এবং আন্দোলনের সব আপডেট সেখানে দ্রুততার সঙ্গে প্রকাশ করা হয়। দেশের অন্যান্য সচেতন নাগরিকের মতো আমার মনেও প্রশ্ন জাগে, যদি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মৌলবাদী মতাদর্শের কেউ না থেকে থাকে, তাহলে কি এটা সম্ভব? আর শুধু জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত ফেসবুক পেজ থেকেই কেন এসব তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়, নানা উসকানি প্রদান করা হয় এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের উত্তেজিত ও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়?

শিক্ষার্থীদের যেসব ব্যাচ ও বিভাগভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গ্রুপ রয়েছে, বুয়েটে অধ্যায়নকালে সেখানে তাদের আলোচনা ও ক্যাম্পাসে অনেক ছাত্রছাত্রীর কর্মকাণ্ড আমার মনেও এ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বুয়েটের ছাত্রছাত্রীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময় সেই প্রশ্ন আবার ঘুরেফিরে দেশবাসীর সামনে আসছে। সর্বশেষ আন্দোলনে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর কর্তৃক ছাত্রছাত্রীদের কাছে মেইল প্রেরণ, আন্দোলনের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে জিহাদি বার্তা দিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসের সব শিক্ষার্থীকে তাদের একাডেমিক ইমেইলে পোস্টার প্রেরণ, ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণের সময়ে সিসিটিভিতে তা ধরা পড়াসহ নানা তৎপরতা মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে কিছু ছাত্রছাত্রীর সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত বহন করে। কিছুদিন আগে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ভ্রমণে গিয়ে বুয়েটের ২৪ শিক্ষার্থী যখন নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে পুলিশের হাতে শিবির সন্দেহে আটক হয়, তখন বর্তমান অনেক শিক্ষার্থী তাদের বাঁচানোর জন্য মাঠে নামে এবং বলা হয়, আদালতে তাদের অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে তারা দাবি জানাবে। অথচ প্রগতিশীল মানসিকতার কিছু শিক্ষার্থী যখন এদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে, তখন কোনো প্রমাণ ছাড়াই তাদের ‘ছাত্রলীগ’ আখ্যা দিয়ে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করা হয় এবং হল কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সিট বাতিলের দাবিও জানানো হয়। ছাত্রছাত্রীদের এই আচরণে মৌলবাদীদের প্রতি তাদের নরম মনোভাবই প্রকাশ পায়।

এটা ঠিক, অধিকাংশ শিক্ষার্থী, যারা বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে, তাদের অনেকেই প্রগতিশীল মন-মানসিকতা ধারণ করে। কিন্তু কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী, যারা মৌলবাদী আদর্শে বিশ্বাসী, তাদের আক্রমণাত্মক আচরণের কারণেই শিক্ষার্থীদের সব আন্দোলনের সময় ওই প্রগতিশীল চিন্তাধারার শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যায়। আর অন্য পক্ষটি সামনের কাতারে এসে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যান্য শিক্ষার্থী নানা মানসিক হয়রানি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়রানি ও বয়কটের হুমকির ভয়ে তাদের সঙ্গে থাকতে বাধ্য হয়। কিন্তু বর্তমানে বুয়েট যেভাবে চলছে, তাতে প্রগতিশীল মন-মানসিকতার শিক্ষার্থীদের সামনের কাতারে এসে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া প্রয়োজন। প্রমাণ করতে হবে, বুয়েটের পবিত্র অঙ্গনে মৌলবাদী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কারও ঠাঁই নেই। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

লেখক: মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম – সাবেক শিক্ষার্থী, ৯২ ব্যাচ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ