প্রতিটি মুহূর্তে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, বাঙালি জাতির পিতার হত্যার কথা। শেখ রাসেলের কথা, পনেরোই আগস্টের কথা। হৃদয় বিদারক এই হত্যার বিচার হয়েছে। হত্যাকারী কিছু কুলাঙ্গারের ফাঁসি হয়েছে। আজ অবলীলায় প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হচ্ছে, পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। অর্থাৎ শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে দেশের মানুষের মন জয় করে ক্ষমতায় যাওয়া হবে না। ভয় দিয়ে জয় করার পরিকল্পনা পনেরোই আগস্ট থেকে এখনো বিএনপি বের হয়ে আসতে পারেনি। শেখ হাসিনাকে হত্যার ঘোষণায় আওয়ামী লীগ কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে। আলহাজ্ব মো. সাদেক খানের ভাষায়, আম কাঁঠালের মৌসুমে শুধু ফল খাইলেই হইবো? নির্বাচনী ফলাফলের জন্য পঁচাত্তরের হাতিয়ারগুলোকে খুঁজতে হইবো,অস্ত্র উদ্ধারের জন্য।
জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের এতিম করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারলে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব নিঃশেষ করে দিবে, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভালো নয়। মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আবেগপ্রবণ কথাগুলো বলেন। লন্ডন থেকে গোপন অস্ত্র ভান্ডার গড়ে তোলা, দেশি-বিদেশি কিলার ভাড়া করার মতো অবৈধ টাকা তার কাছে আছে। পঁচাত্তরের হাতিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। শ্লোগানদাতা বিএনপি-জামায়াতের খুনিদের বলতে চেয়েছে, অস্ত্রের অভাব নেই। তারেক রহমানের অবৈধ অর্থ ও অস্ত্র আমার কাছে। তোমরা জ্বালাওপোড়াও গাড়ি ভাঙচুর, হত্যা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি শুরু করো। মির্জা ফখরুল নাকি রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করবেন! পঁচাত্তরের হাতিয়ার, একুশে আগস্টের রক্ত এখনো হাতে ও মুখে লেগে আছে। সরকার কীভাবে অস্ত্র উদ্ধার করবে? হুঙ্কার দাতাদের সন্ধান করবেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবেন, বিষয়টা প্রশাসনকে ভাবতে হবে।
লেখক : রবিউল আলম – মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।