1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

হলুদ ড্রাগন ফলে পরিত্যক্ত ইটভাটায় প্রাণ সঞ্চার 

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২

চাঁদপুরে এই প্রথম দুর্লভ হলুদ ড্রাগন ফলের সফল চাষ হয়েছে ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পে। পরিত্যক্ত ইটভাটায় বালু ভরাট করে সেখানে ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো গড়ে তোলেন সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন।

পরীক্ষামূলকভাবে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষাবাদ করে ইতিমধ্যে চমক লাগিয়েছেন তিনি। তবে এবার তিনি এই প্রকল্পে দুর্লভ হলুদ ড্রাগন ফল চাষেও চমক দেখালেন।

এ প্রকল্পে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসেন দর্শনার্থীরা।

উদ্যোক্তা সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলীতে পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় ২০২০ সালে ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো গড়ে তোলা হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ প্রজাতির বিদেশি উচ্চমূল্যের ফল আবাদ করা হয়েছে।

“অধিকাংশ জাতই বিদেশে উচ্চমূল্যের ফল হিসেবে খ্যাত এবং এ দেশের মাটি ও আবহাওয়ায় সম্পূর্ণ নতুন জাত। এর মধ্যে একটি খুবই দুর্লভ জাতের হলুদ ড্রাগন, যা বিশ্বে ‘কুইন অব ড্রাগন’ হিসেবে খ্যাত। বাজারে প্রচলিত হলুদ রঙের ড্রাগনের সঙ্গে এর মিল নেই। স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয়।”

হেলাল বলেন, ‘ফলটি অনেক বেশি মিষ্টি ও রসালো। এর পুষ্টিগুণ অন্য সব ড্রাগনের তুলনায় অনেক বেশি। হলুদ ড্রাগন এই দেশের চাষিদের মুখে হাসি ফোটাবে। এই জাত হবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক জাত।

‘আইসিস ড্রাগনের গাছ তিন বছরে পরিপূর্ণতা পেলে এক কেজি ওজনে ছাড়িয়ে যাবে। দেশের মাটিতে বিদেশি ফলের আবাদ করে তাক লাগাতে চাই।’

প্রকল্পের সহকারী ম্যানেজার সোহান চৌধুরী বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পে ৬টি ভিন্ন জাতের ড্রাগন ফলের আবাদ করা হয়েছে। বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে সার্বক্ষণিক ড্রাগন গাছে পরিচর্যা করতে হয়।’

ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রোতে ঘুরতে আসা রহিম বাদশা ও কাজী শাহাদাত বলেন, ‘নতুন জাতের দুর্লভ হলুদ ড্রাগন ফল দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। যার স্বাদ অন্য ড্রাগনের থেকে ভিন্ন। বাংলাদেশে এই নতুন জাতের ড্রাগন আবাদ করে উদ্যোক্তারা বিপ্লব ঘটাতে পারবে।’

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, ‘বিদেশি এই ড্রাগন ফলটি বিগত কয়েক বছর বাংলাদেশে আবাদ হচ্ছে। কৃষক ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকেই ড্রাগন আবাদ শুরু করেছেন।

‘তবে এর মধ্যে হলুদ ড্রাগন এবার সাড়া ফেলেছে। কৃষক এবং ব্যক্তি পর্যায়ে এই ফল জনপ্রিয় করতে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ