1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩

মাদারীপুরে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। ইনজেকশন ও ওষুধ ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করলে চাহিদা বেশি থাকে। তাই এই পদ্ধতিতে এগিয়ে গতবারের লোকসান আসছে কোরবানির ঈদে কাটিয়ে নেয়ার আশা খামারিদের।

সরেজমিন মাদারীপুরের গননপুরের বাসিন্দা সোহাগ খানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ১৫টি গরু দিয়ে শুরু করেন মুর্শিদা অ্যাগ্রো ফার্ম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ৫ বছরের মাথায় ফার্মে এখন রয়েছে ৩৫টি গরু। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছেন পরম যত্নে। কোরবানির ঈদে সব গরু বিক্রির আশা তার।

এ ছাড়া পূর্ব ছিলারচরের সজিব হোসেনের মোতাহার হোসেন ডেইরি ফার্ম রয়েছে ২৫টি। বছরজুড়ে খড়, কুটা, খৈল, ভুসি ও ঘাস খাইয়ে গরুগুলো মোটাতাজা করেছেন। ভালো লাভের স্বপ্ন এই খামারির। একই চিত্র জেলার সব খামারের। দিনরাত সমানভাবে ফার্মের গরুগুলোকে কোন ইনজেকশন ও ওষুধ ছাড়াই দেয়া হচ্ছে দানাদার খাবার। এতে কৃত্রিম উপায়ে বেড়ে উঠেছে গবাদিপশু। দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করতে খামারিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

সূত্র জানায়, গতবার কোরবানির ঈদে জেলার ৫টি উপজেলায় অনুমোদিত হাটের সংখ্যা ছিল ৩২টি। এবার এই হাটের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। পশুর হাটকে ঘিরে ২৪টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। জেলার ১০ হাজার খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে প্রায় ৪০ হাজার গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ করা হলে এবার ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে প্রত্যাশা খামারিদের।

খামারি সোহাগ খান বলেন, একটু একটু চেষ্টা করে খামারে ৩৫টি গরু দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছি। কোরবানির ঈদে সব গরু বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
সজিব হোসেন বলেন, খামার থেকে এরই মধ্যে ৫টি গরু বিক্রি হয়েছে। বাকি গরুগুলো ঈদের আগেই বিক্রি হয়ে যাবে। দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করলে চাহিদা বেশি থাকে। তাই অন্যকোনো উপায়ে নয়, এই পদ্ধতিতে সুবিধা বেশি। গতবারের লোকসান এবার উঠে যাবে।

মাদারীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রত্যেক খামারিকে সঠিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। দেশীয় পদ্ধতির বাইরে এবার জেলায় কেউ গবাদিপশু মোটাতাজা করছে না। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে দেখভাল করছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ