1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ঈদের ছুটিতে সাড়ে ৬০০ কোটি ছাড়াল কক্সবাজার পর্যটন খাতের আয়

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২

বর্ষা মৌসুমেও মন্দা কাটিয়ে ঈদের টানা ছুটিতে সৈকত শহর কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন ৫ লাখের বেশি পর্যটক। এতে পর্যটনের সব খাতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ব্যবসা হয়েছে। যেখানে ৬ দিনে আয় হয়েছে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা।

নিরাপত্তা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও ঈদকেন্দ্রিক গলাকাটা না হওয়ায় পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করেছেন বলে জানিয়েছে কক্সবাজার চেম্বার।

কোরবানির ঈদের টানা ছুটির প্রথম ৪ দিনে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন আড়াই লাখের মতো পর্যটক। আর শুধু বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিনে পর্যটকের সংখ্যা ছুঁয়েছে আড়াই লাখের কাছাকাছি। আর তাদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত ছিল কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলো।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানান, শুক্রবার কাঙ্ক্ষিতসংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। কক্সবাজারের ৫ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানের ৯০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া হয়েছে বলে জানান।

আবুল কাসেম সিকদার জানান, ঈদের প্রথম ২ দিন পর্যটকের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। তৃতীয় দিন থেকে তা বাড়তে থাকে। শুক্রবার ও শনিবার কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন সর্বোচ্চসংখ্যক পর্যটক।

পর্যটকরা ঘুরছেন জেড স্কি ও বিচ বাইকে, চড়ছেন ঘোড়াতে আর প্রিয় মুহূর্তগুলো বন্দি করছেন ক্যামেরায়। তার পাশাপাশি কেনাকাটা করছেন শামুক, ঝিনুক, আচার, শুঁটকিসহ বার্মিজ পণ্যের দোকানে।

আগত পর্যটক সেকান্দার বলেন, বর্ষা মৌসুম হলেও কক্সবাজারে দেখা নেই বৃষ্টির। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে উত্তাল সাগর। পরিবারসহ ঈদের ভ্রমণে অন্যভাবে উপভোগ করছি। প্রশান্তি খুঁজে পাচ্ছি সৈকতের নোনাজলে।

ইসমত আরা ও সাইফুল ইসলাম দম্পতি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই তারা কক্সবাজার এসেছেন। এসে হোটেল কক্ষ পেতে একটু ভোগান্তি পোহাতে হলেও সকাল থেকে সৈকত ভ্রমণে তা কেটে গেছে। মেরিন ড্রাইভ, পাতুয়ার টেক ও ইনানী ঘুরে শনিবার রাতে আবারও ঢাকায় ফিরে যাব।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে আচার, বার্মিজ জুতা ও শামুক কিনছেন নারায়ণগঞ্জের ছুরুত আলম। তিনি বলেন, কক্সবাজার আসলে সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি বার্মিজ মার্কেটে আসি। এখন প্রিয়জন ও পরিবারের আত্মীয়স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করছি। এসব নিয়ে গেলে তারা খুব খুশি হবে।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বর্ষা মৌসুমে যেখানে পর্যটক আগমনের শঙ্কা ছিলেন, সেখানে প্রত্যাশা চেয়ে বেশি পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন। এতে ভালো ব্যবসা হয়েছে পর্যটনের সব খাতে।

সৈকতের ফটোগ্রাফার কেফায়েত বলেন, সৈকতের ৩টি পয়েন্টে ৫ শতাধিক ফটোগ্রাফার রয়েছে। সবাই ঈদের টানা ছুটিতে প্রতিদিনই ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে আয় করেছে।

বিচ বাইক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ৭০টি বেশি বিচ বাইক রয়েছে। তারা বেশ ভালো করছে। কারণ পর্যটক আসায় ভালো আয় হচ্ছে।

সৈকতের শামুক-ঝিনুক বিক্রেতা ছৈয়দ আলম বলেন, আল্লাহর রহমতে প্রত্যাশা চেয়ে বেশি পর্যটক এসেছে। তার কারণে আমাদের ব্যবসাও ভালো হচ্ছে। সন্ধ্যা নামতেই পর্যটকরা কেনাকাটায় ভিড় জমায়। এতে প্রতিদিনই ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।

হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যটন নগরীর রাস্তাঘাটের আমূল পরিবর্তন ও নিরাপত্তা জোরদারের কারণেই কক্সবাজারমুখী হয়েছে পর্যটকরা।

হোটেল কক্স-টুডে’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের রাস্তাঘাটের আমূল পরিবর্তন এসেছে, হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধন। আর পর্যটকদের নিরাপত্তা জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল জোরদার ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন হয়েছে। এতে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করতে পারছেন। একই হোটেলগুলোতে ছাড় চলছে। যার ফলে ঈদের ছুটিতে প্রত্যাশার বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এতে ব্যবসাও ভালো হচ্ছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ