সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অন্যান্য সবজির চেয়ে তুলনামূলক লাভজনক হওয়ায় কচু চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। কচু চাষে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে কচু চাষ করা হয়েছে। আগামীতে কচু চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে কৃষি দপ্তর।
কচুচাষি আব্দুল মালেক জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার কচু চারা লাগানো যায়। উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি বিঘায় উৎপাদিত কচু থেকে কৃষকের ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়। এছাড়া, প্রতি কেজি লতি বিক্রি হয় ৫০-৬০ টাকা দরে।
চাষি আব্দুল মালেক বলনে, ‘কম খরচে বেশি ফলন পাওয়া যায় কচুতে। তাছাড়া কচুর দাম ভালো থাকায় আমরা অনেক লাভবান হচ্ছি।’
বাজারের কচু ক্রেতা খোদেজা বেওয়া জানান, ‘কচু বর্তা খালি আলাই-বালাই অয় না। এর স্বাদও আছে। তাই কচু কিনা নিয়া গেলাম।’
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এহসানুল হক বলেন, ‘এটেল মাটিতে কচুর চাষ ভালো হয়। তবে দোঁ-আশ মাটিতেও কচুর চাষ হয়ে থাকে। এই অঞ্চলের দুই ধরনের কচুর চাষ হয়- পানি কচু আর লতি কচু। উপজেলা কৃষি দপ্তর কৃষকদের কচু চাষে উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহম্মেদ বলেন, ‘কচু চাষে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। সাথী ফসল বা সবজি হিসেবেও চাষ করা যায়। খরচ কম ও সহজে বিক্রি করা যায় বলে লাভও হয় ভালো। তাই কৃষকরা কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।’
