বড় ভাইয়ের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বরাবর চিঠি দিয়েছেন ছোট ভাই। বাংলাদেশ সুপ্রিম পাটি (বি.এস.পি) নিবন্ধন বাতিলে ইসিতে চিঠি দিয়েছে সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারির ছোট ভাই সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অভিযোগ দিয়ে যান সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ। ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যের আশ্রয়ে সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি, পারিবারিক সম্পত্তি সন্ত্রাসের মাধ্যমে জোরপূর্বক দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপন করায় বাংলাদেশ সুপ্রিম পাটি (বি.এস.পি)র নিবন্ধন না করার জন্য আবেদন করেছেন তিনি।
সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি নামে যে দলটা নিবন্ধনের জন্য দরখাস্ত করেছে সেটা নিয়ে নির্বাচন কমিশন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে দেওয়ার জন্য। আমাদের অভিযোগ হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং অন্যান্য জায়গায় যে কার্যালয়গুলো দেখিয়েছে, এগুলো সবগুলো আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি। এখানে আমরা আমাদের পরিবার, বিবি-বাচ্চা নিয়ে বসবাস করি। আসলে হীন উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের পারিবারিক সম্পত্তিগুলো যেগুলো নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান, উনি বিভিন্ন মামলাগুলো দীর্ঘসূত্রিতা করে আমাদের সম্পত্তিগুলো আত্মসাৎ করেন। আমরা দুই ভাই দুই বোন। কিন্তু উনি আমার বড় ভাই হিসেবে আমার এবং ছোট দুই বোনের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার কু মাসনে উনি নির্বাচন কার্যালয় আমাদের পারিবারিক সম্পত্তির ওপর বসিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের প্রতি আকুল আবেদন। এটা আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি। যার কাছে পরিবার-পরিজন, নিজের ছোট ভাই-বোনরা নিরাপদ নয়, তার কাছে দেশবাসী কি করে নিরাপদ থাকবে। এজন্য আকুল আবেদন বিএসপি নামের ভুঁইফোড় সংগঠনের নিবন্ধন যেন না দেওয়া হয়। পারিবারিক সম্পত্তি ভূমিদস্যু, যে ছয়টা গানম্যান নিয়ে চলে, আমাদের প্রতিনিয়ত ভয় দেখিয়ে চলছে। চকরিয়া ও ঢাকার বাড়িতেও মাস্তান বাহিনী নিয়ে মহড়া চালায়। আমাদের পরিবার, আমার বিবি-বাচ্চাদের ওপর সন্ত্রাসী মহড়া চালায়।
একজন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, প্রতারক, জালিম এবং এই ঠকবাজ লোক কীভাবে জাতীয় নির্বাচন করে, যার কাছে নিজের পরিবার-পরিজন নিরাপদ নয়। যিনি আমার পিতা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারি থেকে সমুদয় সম্পত্তি উনি জুলুম করে, প্রতারণার মাধ্যমে, হেবা দলিলের মাধ্যমে উনি নিয়ে নেন। আমার বাবার সমুদয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে আমাদের পৈত্রিক ও মাত্রিক সম্পত্তির কোনো হিস্যা না দিয়ে একদম জুলুমভাবে অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন করে যাচ্ছে। একজন সন্ত্রাসী, ঠকবাজ, জুলুমবাজ কি করে একটা পার্টির নেতৃত্ব দিতে পারে। এতে আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনার তো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডই নাই। ওনার কর্মকাণ্ড হলো কীভাবে ভাই বোনদের ঠকাবে, এই নিয়তে উনি এই দল করতে হবে। বিএসপি কতদিন ধরে পরিচিত, এটা আমি নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি দেখে এবং টিভিতে প্রেস ব্রিফিং দেখে জানতে পেরেছি। বাংলাদেশের সর্ব জায়গায় আমাদের খানকা শরিফ আছে। সেগুলোই তিনি কার্যালয় হিসেবে দেখিয়েছেন। কীভাবে ছয়টা গানম্যান নিয়ে চলতে পারে সেটাও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দেখার জন্য আবেদন জানান। নিবন্ধনের নাম করে পারিবারিক সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা চলছে।
উনি যদি আমাদের এলাকায় মেম্বার নির্বাচন করে তাও ফেল করবে। মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও তার নাই বলে জানান তিনি।
