গত ১৮ জুলাই লক্ষীপুরের মদিনউল্যাহ হাউজিংয়ে আর্থিক লেনদেন ও বিয়ে সংক্রান্ত ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন সজিব হোসেন।
প্রাথমিক সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, সজিব হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা যেখানে রাজনৈতিক কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় নি। ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেন ও বিয়ে সংশ্লিষ্ট বিবাদ নিয়ে সজিবকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কোপায় চার-পাঁচজন যুবক। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রাণ হারান সজিব।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সজিব দৌঁড়ে লক্ষ্মীপুরের মদিন উল্যাহ হাউজিংয়ের একটি বাসার ঢুকছে এবং কিছুক্ষণ পর সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে নিহত সজিব ফ্লাটের মালিক নোমানকে জানিয়েছিল যে, আর্থিক লেনদেন এবং বিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালায়। এছাড়া সে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল না বলেও জানিয়েছিল।
এর আগে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে ঘটনা জানানো হয়েছিল। সেই সূত্র ধরে পুলিশ ফিরোজা ভবন থেকে সজিবের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে নিহত সজিবকে দলীয় কর্মী দাবি করে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত সজিবকে কেউ যুবদলের, কেউ কৃষকদলের কর্মী বলে দাবি করে। এর আগে ভিন্ন একটি ছবি নিয়ে লক্ষ্মীপুরে বিএনপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
বিএনপির সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে লাশের রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও সজাগ থাকা উচিত।