1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

গাজীপুরে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩

গাজীপুরে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি। এখানে থাকবে চলচ্চিত্রের শিল্পীদের শুটিংয়ের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। থাকবে আধুনিক সব শুটিং স্পট, ফ্লোর, যন্ত্রপাতি ও স্টুডিও। এর মাধ্যমে উন্নতমানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব হবে। ফলে দর্শকদের সিনেমা হলে যাওয়ার আগ্রহ বাড়বে। ঘটবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, গাজীপুর জেলার গাজীপুর সিটি করপোরেশন (দক্ষিণ বাগবেড় মৌজা) এবং কালিয়াকৈর উপজেলায় (হরিরাউৎপুলকার মৌজা) নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩৮৭ কোটি ৯১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি নির্মাণে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানিয়েছে, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ফিল্ম সিটি নির্মাণের লক্ষ্যে শুটিং স্পট ও ফ্লোর নির্মাণ, শুটিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, পোস্ট প্রোডাকশন স্টুডিও স্থাপন, শিল্পী-কলাকুশলী এবং পর্যটকদের জন্য আবাসন সুবিধা সৃষ্টি, ফিল্ম সিটিতে আগত দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য ইকোপার্ক ও ল্যান্ডস্কেপিংসহ থ্রিডি ও সেভেন ডি থিয়েটার এবং ফোর কে রেজুলেশনের সিনেপ্লেক্স থিয়েটার নির্মাণ, দর্শকদের নিকট চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি আকর্ষণ ও আগ্রহ সৃষ্টিকরণ, চলচ্চিত্র শিল্পকে সুদৃঢ় করা, এফডিসির রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করার উদ্দেশ্যেই প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়িত হবে।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প এলাকায় ৩২০০ বর্গমিটার শুটিং স্টুডিও বা ফ্লোর নির্মাণ করা হবে। ৫০ হাজার বর্গমিটার এন্ট্রি রোড (বাংলাদেশ বেতার) নির্মিত হবে। ক্যাবল কার, চার সেট মাস্টার প্রাইম লেন্স ও ৪টি ডিজিটাল মুভি ক্যামেরা ক্রয় করা হবে। শুটিংয়ের জন্য প্রকল্প এলাকায় একটি ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এসবের জন্য ৫২ শতাংশ ভূমি ক্রয় বা অধিগ্রহণ করা হবে। প্রকল্প এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় চলচ্চিত্র শিল্পের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে, যার সঙ্গে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করে পরিকল্পনা কমিশন।

একনেকের অনুমোদন চেয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত শুটিং স্পট, ফ্লোর, যন্ত্রপাতি ও স্টুডিও ইত্যাদি নির্মাণের মাধ্যমে উন্নতমানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব হবে। ফলে দর্শকদের সিনেমা হলে যাওয়ার আগ্রহ বাড়বে। এতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। এমন পরিস্থিতিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন সম্পূর্ণ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি (পর্যায়-২)’ শীর্ষক প্রকল্পটি আগামী ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য একনেকের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চিত্র পরিচালক কাজী হায়াত জানিয়েছেন, দীঘদিন বন্ধ থাকার পরে এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে জেনে ভালো লাগছে। কারণ, এখন আর এফডিসিতে কাজ করার কোনও সুযোগ নাই, সুবিধাও নাই। এফডিসি এখন কিছু কুকুর আর ভবঘুরেদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। ফলে শিল্পীরা এখন আর সেখানে কাজ করতে চায় না। ভালো লোকেশন আর ভালো স্পটের জন্য আমাদের এখন দেশের বাইরে যেতে হয়। এতে ব্যয় বাড়ে, দেশি অর্থ বিদেশে চলে যায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এফডিসির আয় বাড়বে, দেশি অর্থ সাশ্রয় হবে, সময় বাঁচবে। মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মিত হবে বলেও আমি মনে করি।

এ প্রসঙ্গে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র প্রযোজক ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রকল্পটি দেশের চলচ্চিত্রের জন্য আশীর্বাদ। আমরা চলচ্চিত্রশিল্পীরা সরকারের কাছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত শুটিং স্পট ও ফ্লোর নির্মাণ, শুটিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, পোস্ট প্রোডাকশন স্টুডিও স্থাপন এবং শিল্পী-কলাকুশলী এবং পর্যটকদের জন্য আবাসন সুবিধাসহ এ ধরনের একটি ফিল্ম সিটি নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূর্ণ হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। এতে চলচ্চিত্রপ্রেমী দর্শকদের সিনেমা হলে যাওয়ার আগ্রহ বাড়বে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ