1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

১৩ দেশের মিশনপ্রধানকে অসন্তোষ প্রকাশ

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের (হিরো আলম) ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দেয়ার জেরে আজ ১৩ দেশের মিশনপ্রধানকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশনের বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিক।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, মিশনপ্রধানদের কাছে মূলত সরকারের পক্ষ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হবে। তাদের জানানো হবে, বাংলাদেশ যৌথ বিবৃতির ঘটনা পছন্দ করছে না। ডেকে অসন্তোষ জানানোর পর মিশনপ্রধানদের পক্ষ থেকেও প্রতিক্রিয়া আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে তলবের তথ্যে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূতদের কেউ কেউ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কেউ বলেছেন, হামলার ঘটনার প্রকৃত চিত্র না জেনে এবং সরাসরি সরকারপক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে যৌথভাবে বিবৃতি প্রকাশ করায় ভিয়েনা কনভেনশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। তাই এ বিষয়ে তাদের তলব করার বিষয়টি ন্যায্য ও যথার্থ। বিদেশী রাষ্ট্রদূত ও মিশনপ্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশ সবসময় নমনীয় থাকলেও তলব করার মাধ্যমে সরকারের দৃঢ়তার প্রকাশ ঘটেছে। আবার কেউ বলেছেন, দৃঢ়তা প্রকাশের সময় ও বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের কিছু বিষয় আমলে নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের কেউ কেউ। যেমন রাষ্ট্রদূতরা তাদের দেশের প্রতিনিধি হিসেবেই বিবৃতি দিয়েছেন এবং সেটা তাদের সরকারের সম্মতি নিয়েই দিয়েছেন। যে দেশগুলো বিবৃতি দিয়েছে সেগুলো সংগঠিত দেশ। তাদের কূটনীতি অনেক বেশি অর্গানাইজড। তাদের হেডকোয়ার্টার এবং মিশনগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বেশ সক্রিয়। তারা বিবৃতি দেয়া মানে ধরে নেয়া যেতে পারে, সেই বিবৃতির বিষয়ে নিজ নিজ দেশের সমর্থন আছে।

জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতদের যৌথ বিবৃতি আমাদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক ও সম্মানহানিকর, কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থী, এগুলো ঠেকাতে হবে। একসঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে বিবৃতির কোনো প্রশ্নই আসে না। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এককভাবে পাবলিক বিবৃতি দেয়াও তাদের জন্য নিষেধ। তারা আমাদের পরামর্শ দিতে পারে। তারা যদি মনে করে আমরা কোথাও ভুল করেছি, ধরিয়ে দিতে পারে কিন্তু সেগুলোর পদ্ধতি আছে। কূটনৈতিক যে শিষ্টাচার আছে, যে চ্যানেল আছে, সেগুলোর মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশ করতে হবে। এ ধরনের ঘটনায় সরকারের আরো দৃঢ়তা দেখানো উচিত।’

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘তলবের ভিত্তি শক্তিশালী হলেই এ উদ্যোগ অর্থবহ ও ইতিবাচক হবে। ভিয়েনা কনভেনশনে বলা আছে, আইনের মধ্যে থেকে একজন রাষ্ট্রদূত যে দেশে নিযুক্ত আছেন, ওই দেশের যাবতীয় বিষয়, যেগুলো দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক বা নেতিবাচক, সেগুলো সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট দেশটির সরকারের সঙ্গে শেয়ার করবেন।’

কূটনীতিকদের প্রতিক্রিয়াকে কেন্দ্র করে ২০ জুলাই তলব করা হয় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসকে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গোয়েন লুইসের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর শেলডন ইয়েট হাজির হন। সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে অসন্তোষ জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়াম।

গোয়েন লুইসকে তলবের আগে ১৯ জুলাই দূতাবাসের বিবৃতি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অ্যাক্টিভিস্ট ডিপ্লোম্যাটদের সম্পর্কে আমি বলতে চাই, নিউইয়র্ক আমেরিকায় যখন-তখন লোক মেরে ফেলে, তারা কি স্টেটমেন্ট দেয় কখনো? ইউএন কি কোনোদিন স্টেটমেন্ট দিয়েছে? বলেছে যে আমেরিকায় লোক মরে যায় কেন? একটা বাঙালি ছেলে মারা গেল ফয়সাল, এত দিন হলো। তারা কি বলেছে, ইউএন কি বলেছে, এ ছেলের ইনভেস্টিগেশন কতদূর হয়েছে? কিংবা রাষ্ট্রদূতরা দলবেঁধে কোনো স্টেটমেন্ট দিয়েছে? আপনারা কেন জিজ্ঞেস করেন না? প্রতিদিন কত লোক মারা যায় বিভিন্ন দেশে, তখন কেন তারা স্টেটমেন্ট দেয় না? আর বাংলাদেশ হলেই, মগের মুল্লুক পাইসে ওরা। দ্যাটস নট অ্যাকসেপটেবল।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ