1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সামাজিক সুরক্ষা ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশ

ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মাসিক বয়স্কভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। আর বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর ভাতা ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন এই বাজেটে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৭.০১ লাখ থেকে ৫৮.০১ লাখ জনে অর্থাৎ গত অর্থবছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল ৫৭ লাখ ১ হাজার। ১ লাখ বাড়িয়ে তা ৫৮ লাখ ১ হাজার করা হয়েছে এবং মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী ভাতাভোগী ২৪.৭৫ লাখ থেকে ২৫.৭৫ লাখ জনে অর্থাৎ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ বাড়িয়ে বর্তমানে ২৫ লাখ ৭৫ জন করা হয়েছে এবং মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ২৩.৬৫ লাখ থেকে ২৯ লাখ জনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তার মানে দরিদ্র প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ২৩ লাখ ৬৫ হাজার থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার বাড়িয়ে বর্তমানে ২৯ লাখ করা হয়েছে। হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৮১৫ জন থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার ৮৮০ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ ভাতাভোগী ২ হাজার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার ৬২০ করা হয়েছে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠী থেকে উপকারভোগী ৬৯ হাজার ৫৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৫০৩ জন করা হয়েছে। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৩ লাখ ৪ হাজার করা হয়েছে

অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বলতে এমন ধরনের উন্নয়নকে বুঝায় যা সমাজের সব শ্রেণির মানুষের জন্য তৈরি সুবিধাসমূহ সবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্রুতবর্ধমান অর্থনীতির একটি দেশ। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতিকৌশল প্রয়োগের কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও দেশের অর্থনীতি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধারা অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম পলিসি ওয়াচার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের প্রশংসা করে বলেছে, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেস স্টাডিতে পরিণত হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৫০ বছরে ২৭১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত এক দশকে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে এবং দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পাকিস্তানের আড়াই গুণ। বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। এমিলিয়া ফার্নান্দেজ বলেন, ‘কিভাবে এই দেশকে থামানো যায় তা নিয়ে বিশ্ব নেতাদের কারসাজি শুরু হয়েছে।’ তবে বাংলাদেশকে যে হারানো যাবে না তা হোল্ডম্যান শ্যাকা তার রিপোর্টে তুলে ধরেছেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়, ২০৭৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ১৬তম অর্থনীতির দেশ। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। বাবার সহজাত গুণাবলী ধারণ করে বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেন শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন এবং একই বছর তিনি সারাদেশের গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শুরু করেন ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। বিশ্বের বুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য মানবিক দৃষ্টান্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভাসমান ভূমিহীন পরিবার জায়গাসহ দৃষ্টিনন্দন বাড়ি পাচ্ছেন। এ পরিবারগুলোর অধিকাংশ ছিল ‘অতি দরিদ্রসীমার নিচে’। বাসস্থানের মৌলিক অধিকার ছিল না তাদের। এখন তারাই জায়গার মালিক হচ্ছেন, বাড়ির মালিক হচ্ছেন।

একইসঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান করা হচ্ছে। এমন অধরা স্বপ্নপূরণের আনন্দ-অশ্রু এখন তাদের চোখে। মুখে নতুন সূর্যের ঝলমলে হাসি। ইতোমধ্যে জায়গাসহ বাড়ি পাওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসতিরা বাস করছেন রঙিন টিন আর পাকা দেয়ালের আধাপাকা বাড়িতে। সেখানেই করছেন শাক-সবজির আবাদ। কেউবা হাঁস-মুরগি, ছাগল-গরুপালন করছেন। সন্তানদের পাঠাচ্ছেন স্কুলে। আশ্রয়হীন ভাসমান মানুষগুলো বসবাসের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই সুবিধাটি পেয়ে তাদের সবার মুখে এখন নতুন সূর্যের ঝলমলে হাসি। এখন আর দুশ্চিন্তা নেই। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি গৃহহীন ও ভূমিহীনের জন্য বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে।

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৯টি বাড়ি হস্তান্তরের পর এবারের ঈদের উপহার হিসেবে তৃতীয় ধাপের নির্মাণাধীন ৩২ হাজার ৯০৪টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। শুধু বাড়ি করে দিয়েই সরকার দায়িত্ব শেষ করেনি। বরং উপকারভোগীদের স্থায়ীভাবে জীবন মান উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ভিজিএফ সুবিধা প্রদান, কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, সমবায় সমিতি গঠন ও ঋণ প্রদান, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, পুকুর খনন ও মৎস্য চাষ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ প্রদান, বৃক্ষরোপণ, গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং বিনামূল্যে শিক্ষা কার্যক্রমসহ আরও নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গরিব এবং অসহায় জনসাধারণের উন্নয়নে লক্ষ্যে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায়  বয়স্ক ও বিধবাভাতাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের ভাতা ধারাবাহিকভাবে প্রদান করে আসছে। প্রতি বছর এই সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে সরকার বাজেটের একটা বড় অংশ বরাদ্দ করে আসছে। পূর্বের ন্যায় বর্তমান বাজেটেও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা আওয়ামী লীগ সরকার ধরে রেখেছে। ১ জুন ২০২৩ জাতীয় সংসদে ‘দেড় দশকের উন্নয়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক বাজেট বক্তৃতা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি দেশের ৫২তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত এই বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মাসিক বয়স্কভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। আর বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর ভাতা ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন এই বাজেটে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৭.০১ লাখ থেকে ৫৮.০১ লাখ জনে অর্থাৎ গত অর্থবছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল ৫৭ লাখ ১ হাজার। ১ লাখ বাড়িয়ে তা ৫৮ লাখ ১ হাজার করা হয়েছে এবং মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী ভাতাভোগী ২৪.৭৫ লাখ থেকে ২৫.৭৫ লাখ জনে অর্থাৎ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ বাড়িয়ে বর্তমানে ২৫ লাখ ৭৫ জন করা হয়েছে এবং মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ২৩.৬৫ লাখ থেকে ২৯ লাখ জনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তার মানে দরিদ্র প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ২৩ লাখ ৬৫ হাজার থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার বাড়িয়ে বর্তমানে ২৯ লাখ করা হয়েছে। হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৮১৫ জন থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার ৮৮০ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ ভাতাভোগী ২ হাজার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার ৬২০ করা হয়েছে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠী থেকে উপকারভোগী ৬৯ হাজার ৫৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৫০৩ জন করা হয়েছে। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৩ লাখ ৪ হাজার করা হয়েছে।

আর্থ-সামাজিক খাতে দেশে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জনের ধারা অতীতের ন্যায় অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন তা হলো- একটি বাড়ি একটি খামার (বর্তমানে আমার বাড়ি আমার খামার), আশ্রয়ণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও আয় বৃদ্ধির কার্যক্রম। এসবের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বর্তমানে চলমান ৮ম পঞ্চবার্ষিক ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনায়।

জিইডি সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করছে সরকার। এর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) সাফল্যের পর ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে দেশ। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেশের সব মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রদান করেন। একই সঙ্গে জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছানো, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো, পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০টি বিশেষ উদ্যোগ হাতে নেন। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আজ বিশ্বের মডেল।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যেমন এদেশের মানুষের উন্নয়নে নিজের জীবন দিতেও কোনো ধরনের কুণ্ঠাবোধ করেননি ঠিক তেমনি যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা হিসেবে নিজের জীবনকে বাজি রেখে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য বদলে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি তথা ভাতার পরিমাণ বাড়ানো এবং বিভিন্ন ধরনের ভাতা উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো এবং প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের বর্তমান বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগের ফলে এই বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম অর্থনীতিতে উন্নত দেশে পরিণত হবে। আর ২০২৬ সালেই বাংলাদেশ ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ এবং ২০৪১ সালেই ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে।

সুতরাং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন এবং সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান অসামান্য। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছেন তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের সকলের উচিত একতাবদ্ধ হয়ে হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

লেখক: ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া – অধ্যাপক, ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ