1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিভীষিকাময় গ্রেনেড হামলার পর বিএনপি নেতাদের প্রহসনমূলক বিবৃতিসমূহ

সুভাষ হিকমত : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১

২১ শে আগস্ট এর গ্রেনেড হামলা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করেছে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার, কি নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন জাতির সামনে, ধিক্কার জানানোর কোন শব্দ নেই অভিধানে। এই ধরণের প্রহসন মানবতার সাথেই নির্মমতা। জেনে আসি কি বলেছিলো সেদিন বিএনপি নেতারা।

 

তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, ‘হামলার পর তার এ নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে গেলে তা করতে দেয়া হয়নি।
পার্লামেন্টে আমাদের বক্তব্য পর্যন্ত দিতে দেয়নি। আর কেউ বক্তব্য দিতে চাইলেই মাইক বন্ধ আর তারপর তাদের ব্যাঙ্গোক্তি -সেটাও আমাদের স্মরণে আছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে পার্লামেন্টে সাধারণত একটা রেজুলেশন নেয়া হয়। সেই পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তার দলের লোকেরা কী বলেছিল? সোজা বলে দিল, না ওনাকে আবার কে মারতে যাবে।’

‘আমার ওপর অপবাদ দিল, আমি নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে এসে নিজেই গ্রেনেড মেরেছি। আমি জিজ্ঞেস করলাম আমরা আবার গ্রেনেড মারায় পারদর্শী কবে হলাম আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে আমি কি সুইসাইড করতে গিয়েছিলাম নাকি?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গুজব ছড়ানো ও মিথ্যা কথা বলায় বিএনপির থেকে পারদর্শী কেউ নয়। সব জায়গায় এটা ছড়ালো, স্কুলে স্কুলে পর্যন্ত বাচ্চাদের কাছে পৌঁছে দিল যে এই গ্রেনেড আমি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড মেরেছি। আমি নিজে নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি। এদের চরিত্রটা দেশবাসীর মনে রাখা উচিত।’

 

বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর বিএনপির কে কি বলেছিলেনঃ

• সংসদে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেছিলেন- “ওখানে মারবে কে?”
• সংসদে কোন শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি বা কোন আলোচনা করেনি।
• ২২ আগস্ট, ২০০৪ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের এক সমাবেশে সংগঠনের তত্কালীন সাধারণ সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছিলেন, শেখ হাসিনা এবং সাবের হোসেন চৌধুরীকে রিমান্ডে নিলেই প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে!
• স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছিলেন, ‘উই আর লুকিং ফর শত্রুজ!’
• ৩০ আগস্ট, ২০০৪ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দলের তত্কালীন মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়াসহ কয়েকজন মন্ত্রী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করেন।
• তৎকালীন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী আমানুল্লাহ্ আমান ওই সমাবেশে বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক তদন্ত চাচ্ছেন। আমরা সবধরনের তদন্ত করবো। খুব তাড়াতাড়িই তদন্ত রিপোর্ট দেবো। ওই রিপোর্টে গ্রেনেড হামলার জন্য আব্দুস সামাদ আজাদ, মোহাম্মদ নাসিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ এবং মতিয়া চৌধুরীকে দায়ী করা হবে।’
• ২ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছিলেন, সরকারের সাফল্যকে আড়াল করতে ‘বোমা’ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
• গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগই দায়ী! – রিজভী (দৈনিক জনকন্ঠ, প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর ২০১৮)


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ