1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা মেটাচ্ছে শিবগঞ্জের বিশাল বিশাল কাঁঠাল

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩

বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থানহাট থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে কাঁচা কাঁঠাল। সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এ হাটে হচ্ছে কাঁঠাল কেনাবেচা। চারদিকে মৌসুমি ফলে ছেয়ে আছে বাজার। আর এসব মিষ্টি ফলের গন্ধের প্রতিযোগিতায় সব ফলকে ফেলে এখন এগিয়ে জাতীয় ফল কাঁঠাল। এমন চিত্রই মিলল জমে ওঠা বগুড়ার শিবগঞ্জের পাইকারি বাজার মহাস্থানের কাঁঠাল হাটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাস্থানহাটের আগের দিনেই পাইকাররা ভিড় জমায়। সকাল থেকে রাত রাত অবধি এ হাটে কাঁঠাল কেনাবেচা হয়। শিবগঞ্জের পাকুড়তলা গ্রামের বেলাল মিয়া ৩১টি কাঁঠাল নিয়ে অটোভ্যান যোগে মহাস্থান হাটে বিক্রি করতে এসেছেন। তার এসব কাঁঠালের দাম হাঁকানো হয়েছে ৪ হাজার টাকা।

গাবতলীর সোনারায় গ্রামের মফিজুর রহমান নিয়ে এসেছেন ১৯টি কাঁঠাল। ছোট বড় মিলে প্রতি কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। মহাস্থান হাটের স্থানীয় পাইকার রেজাউল করিম বলেন, ‘গতবারের চেয়ে এবার কাঁঠালের আমদানি কম কিন্তু দাম বেশি।’

ভ্যানবোঝাই কাঁঠাল নিয়ে আসা আরেক ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন জানান, প্রতিদিন তারা গ্রাম-গঞ্জ থেকে কাঁঠাল সংগ্রহ করে মহাস্থান হাটে বিক্রি করে থাকেন। প্রতিটি কাঁঠাল আকৃতি অনুসারে ৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। মহাস্থান হাটের কাঁঠাল যাচ্ছে কুমিল্লা, সিলেট, চট্রগ্রাম, নোয়াখালী ও সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায়।

এর মধ্যে সিলেট থেকে আসা পাইকার আল আমিন জানান, এই এলাকাতে প্রচুর পরিমাণ কাঁঠাল পাওয়া যায়। তাই সিলেট থেকে এসে সহকারীদের মাধ্যমে পাইকারি কাঁঠাল কিনে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যান। মোটামুটি লাভও ভালো হচ্ছে।

বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সদস্য ও বিশিষ্ট আড়ৎ ব্যবসায়ী মাহিম ও মুক্তি ফল ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী রহেদুল ইসলাম জানান, দেশের দক্ষিণ অঞ্চল থেকে বেপারীরা মহাস্থানহাটে কাঁঠাল কিনতে আসেন। এরা আগের দিনে বিভিন্ন আড়ৎ, আবাসিক হোটেলে থাকেন। তারা আমাদের মাধ্যমে কমিশনে কাঁঠাল কিনে ট্রাক লোড দিয়ে নিজ গন্তব্যে যান। মহাস্থানহাট থেকে কিনে তাদের এলাকায় প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়। মহাস্থান কাঁঠালের আমদানির কারণে আড়ৎ ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কাঁঠাল পরিবহণ অটোভ্যান ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ব্যবসার সুফল ঘটেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিত সরকার বলেন, শিবগঞ্জ এলাকার মাটি খুবই উর্বর। সব ফসল সকল আবহাওয়ায় মানিয়ে নেয়। কাঁঠালের রোগবালাই কম হয়, সার, কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। ফলন হয় প্রচুর। কৃষক হয় লাভবান।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ