বৈশ্বিক মন্দা আর মূল্যস্ফীতির চাপে বিশ্ববাজারে ভোক্তারা যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন প্রধান বাজার থেকে ভালো প্রবৃদ্ধি পাচ্ছে দেশের পোশাক খাত। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি আয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। মার্কিন সরকারের অফিস অব দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) প্রকাশিত তথ্যে এমনটাই উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার এই তথ্য পাঠিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মার্কিন বাজারে অর্থের দিক দিয়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬.৩৮ শতাংশ, যেখানে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১০.৮৩ শতাংশ।
এর আগে ইউরোস্ট্যাটের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ইউরোপের বাজারে রপ্তানির শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ইইউয়ে পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ৩৫.৬৯ শতাংশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পোশাক আমদানিকারক।
গত পাঁচ বছরে (২০১৭-২০২২) বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ১৩.৯৯ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে বার্ষিক আমদানি বেড়েছে ৪.৫০ শতাংশ।
ওটেক্সার তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্ব থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি বছরে ২২.৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২১ সালে মার্কিন ডলার ৮১.৫৮ বিলিয়ন থেকে ৯৯.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির ৯.৭৫ শতাংশ অংশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তৃতীয় বৃহত্তম পোশাকের উৎস, যা ২০২১ সালে ছিল ৮.৭৬ শতাংশ। ২০২২ সালে ইউএসএর বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বছরে ৩৬.৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। ২০১৮ সালে ভিয়েতনাম থেকে ইউএসএর পোশাকের মূল্য ছিল ১২.২১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালে ছিল ১৪.৩৭ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২২ সালে ছিল ১৮.২৪ বিলিয়ন ডলার।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক। আমেরিকায়ও হিস্যা বেড়েছে ৮.৫ থেকে ৯.৭৫ শতাংশ। পোশাক রপ্তানির পরিমাণ, একক মূল্য ও উচ্চমূল্যের পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে। তবে শঙ্কা হলো বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো ২০২৩ সালে এসে তা কমবে। এ জন্য ভরসা উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানি বাড়ানো।