1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে খাগড়াছড়ির দৃশ্যপট, বেড়েছে কর্মসংস্থান

খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩

সড়ক যোগাযোগ আর বিদ্যুতের হাত ধরে বদলে গেছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পুরো দৃশ্যপট। এক সময় যা ছিল পিছিয়ে পড়া জনপদ, সেই পাহাড়ি এলাকা এখন এগিয়ে চলার বড় উদাহরণ।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের ফলে পণ্য পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ সব ক্ষেত্রেই সহজ হচ্ছে জীবনযাত্রা, যা পাহাড়ি জীবনে এনেছে গতি, বেড়েছে কর্মসংস্থান। এমনকি আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যেরও অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সীমান্তবর্তী এ জেলা। এছাড়া পর্যটন ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে নতুন সম্ভাবনা।

উঁচু-নিচু অজস্র ঢেউ খেলানো পাহাড়, আর সাদা মেঘের অপূর্ব মিতালির অপরূপ সৌন্দর্যভূমি খাগড়াছড়ি। যদিও সীমান্তবর্তী প্রান্তের এ জেলায় দীর্ঘকাল তেমন সুদৃষ্টি না থাকায় পিছিয়ে থাকতে হয় পাহাড়ি জনপদকে। তবে এখন অতীত সেই সব দিন। পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে এখন বদলের ছোঁয়া, সীমাহীন সম্ভাবনা।

গত প্রায় দেড় দশকে নানামুখী পরিকল্পনার ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান এক সময়ের অবহেলিত জনপদে। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন আমূল পাল্টে দিয়েছে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা। এক সময় যেখানে যাতায়াত ছিল একেবারেই দুস্কর, সেই দুর্গম পাহাড়ের বুকে এখন পিচঢালা সড়ক। আঁকাবাঁকা দৃষ্টিনন্দন পথে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আধুনিক সব যানবাহন। এভাবে গত সাড়ে ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৃণমূল পর্যায়ে যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে ব্যাপক হারে।

শেখ হাসিনা সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির সুফল মিলছে প্রাণিসম্পদ, মৎস্য চাষ, কৃষিপণ্যসহ সার্বিক উৎপাদন খাতে। আর উন্নত সড়ক যোগাযোগের ফলে পাহাড়ে উৎপাদিত পণ্য নিমিষেই পৌঁছে যাচ্ছে দূর-দূরান্তে, মিলছে ন্যায্যমূল্য।

সুবিধাভোগীদের কথায়, ‘এই রাস্তা হওয়ার কারণে আমরা যারা চাষাবাদ করি, তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করতে পারছি। এতে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি। আর্থিকভাবে আমরা লাভবান হচ্ছি।’

কেবল তাই নয়, তিন পার্বত্য জেলাকে এক সুতোয় গাঁথছে সীমান্ত সড়ক। আর সেটি মিলেছে খাগড়াছড়ির রামগড়ে। যেখানে আনুষ্ঠানিক যাত্রার অপেক্ষায় স্থলবন্দর ও ইন্দো-বাংলা মৈত্রী সেতু, যা সহায়ক হবে ত্রিপুরা-মিজোরামসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে।

পর্যটন খাতেও যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা, বাড়তি আকর্ষণ। সরকারি বেশ কিছু প্রকল্পের ফলে নান্দনিক রূপ পাচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো। আলুটিয়ায় দুই পাহাড়কে যুক্ত করা ঝুলন্ত সেতু, নন্দনকানন পার্ক, কুঞ্জছায়া ভিউ পয়েন্ট, স্বর্ণতোরণ যার উজ্জ্বল উদাহরণ।

পাহাড়ি জনপদে বৈপ্লবিক বদল এনে দেয়ার আরেক আশীর্বাদ বিদ্যুৎ। আঁধার পেরিয়ে পাহাড়ের ঘরে ঘরে এখন আলোর রোশনাই। যেখানে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছানো দুরূহ, সে সব দুর্গম এলাকা আলোকিত করছে সরকারি সহায়তায় বসানো সোলার প্যানেল।

এ বিষয়ে খাগড়ছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়নের ফলে বিসিক নগরীতে অনেক উদ্যোক্তা বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পেরেছে। মিনারেল ফ্যাক্টরি ছাড়াও আরও অনেক প্রকল্প চলমান আছে।

শিক্ষাক্ষেত্রেও বদলের হাওয়া। বেড়েছে বিদ্যালয় আর শিক্ষার্থীর সংখ্যা, প্রাথমিকে শতভাগ শিক্ষার্থীই এখন উপবৃত্তির আওতায়। নানামুখী পদক্ষেপে কমেছে ঝরে পড়ার হার।

স্থনীয়রা জানান, পার্বত্য এলাকায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) কিছু স্কুল ছিল। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সেই স্কুলগুলো সরকারি হয়েছে।

গৃহহীন মানুষের আপন ঠিকানা করে দিতে গড়ে ওঠেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্প। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসমেত দৃষ্টিনন্দন এসব ভবন যেনো হার মানাবে অতিথিশালাকে।

কেন্দ্রের সঙ্গে প্রান্তের সমান তালে এগিয়ে চলার উন্নয়ন দর্শন বাস্তবায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ এক সময়ের পিছিয়ে থাকা খাগড়াছড়ি। গত সাড়ে ১৪ বছরে অবকাঠামো খাতে ব্যাপক অগ্রগতি; সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এই এলাকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতসহ সরকারের সেবাধর্মী নানান উদ্যোগ বদলে দিয়েছে পাহাড়ের জনপদ। আর সমতাভিত্তিক এই দর্শনই বাংলাদেশকে এগিয়ে দিচ্ছে টেকসই উন্নয়নের বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ