1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ময়মনসিংহে আউশ ধানের বাম্পার ফলন

ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩

ময়মনসিংহে আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ফলন ভালো হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা বলছেন, বৃষ্টির অভাবে কম জমি চাষাবাদ হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা করেছিলেন। তবে ফলন ভালো হওয়ায় সেই ভয় কেটে এখন ন্যায্য দাম পেলেই হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর ১৬ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ১৭ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় এবং বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আবাদ কমেছে। তবে ফলন ভালো হয়েছে।

ময়মনসিংহ সদরের গোপালনগর গ্রামের কৃষক তালেব উদ্দিন বলেন, ‘এই অঞ্চলের কৃষকরা আউশ ধান আবাদের কথা ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ফলন ভালো হওয়ায় আবারও আউশ আবাদে ঝুঁকেছেন। পাশাপাশি সরকার ধানের বীজ দিয়ে সহায়তা করায় আগ্রহী হয়েছেন কৃষকরা। কম সময়ে আউশ ধান ঘরে তুলতে পেরে অভাব ঘুচছে অনেকের। এই ধান আবাদে খরচ কম, তবে ফলন বেশি পাওয়া যায়।’

এবার সরকার কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে পাঁচ কেজি করে আউশের বীজ দিয়েছিল জানিয়ে তালেব উদ্দিন বলেন, ‘২৭ শতক জমিতে ধান আবাদ করেছি। বীজতলা ও চারা তৈরিতে ৫০০, রোপণে শ্রমিক বাবদ এক হাজার ৩০০, জমি চাষে এক হাজার, ইউরিয়া ও পটাশ সারে এক হাজার ৬০০, সেচ বাবদ ৪০০, নিড়ানি বাবদ ৪০০, ধান কাটায় এক হাজার ২০০ এবং মাড়াই করতে খরচ লেগেছে ৬০০ টাকা।’

২৭ শতক জমিতে আট মণ ধান পেয়েছি উল্লেখ করে এই কৃষক বলেন, ‘সবমিলিয়ে আবাদে খরচ হয়েছে ছয় হাজার টাকা। আট মণ ধান এক হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে পাবো আট হাজার টাকা। হিসাবে দুই হাজার টাকা আয় হবে আমার।’

ছোটবেলায় বাবা এবং এলাকার কৃষকদের পাট চাষের পাশাপাশি আউশ আবাদ করতে দেখেছেন বলে জানালেন একই গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ফলন কম হওয়ায় ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে আউশ আবাদ কমে গিয়েছিল। পরে কৃষকদের আগ্রহী করতে প্রণোদনা হিসেবে বীজসহ নানা সহযোগিতা করেছে সরকার। গত কয়েক বছর ধরে ফলন ভালো হচ্ছে। এতে এই ধান আবাদে আগ্রহী হন অনেকে।’

চলতি বছর ৬৫ শতক জমিতে আউশ আবাদ করেছি উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ মণ ধান পেয়েছি। চাষাবাদে খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এ বছর খরায় কম জমিতে চাষ হয়েছে। তবে যারা চাষ করেছেন, তাদের জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। এজন্য লাভের মুখ দেখবেন কৃষকরা।’

সদরের পাড়াইল গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন বলেন, ‘আউশ আবাদ হলো অসময়ের চাষাবাদ। এই সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারলে সংসারের উপকার হয়। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।’

কম জমিতে আবাদ হলেও এবার আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মতিউজ্জামান। তিনি বলেন, ‘জেলায় এবার ১৬ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ১৭ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় এবং বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আবাদ কমেছে। তবে ফলন ভালো হয়েছে। বেশিরভাগ কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বীজ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আগামীতে এই সহায়তার পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ