ময়মনসিংহে আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ফলন ভালো হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা বলছেন, বৃষ্টির অভাবে কম জমি চাষাবাদ হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা করেছিলেন। তবে ফলন ভালো হওয়ায় সেই ভয় কেটে এখন ন্যায্য দাম পেলেই হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর ১৬ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ১৭ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় এবং বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আবাদ কমেছে। তবে ফলন ভালো হয়েছে।
ময়মনসিংহ সদরের গোপালনগর গ্রামের কৃষক তালেব উদ্দিন বলেন, ‘এই অঞ্চলের কৃষকরা আউশ ধান আবাদের কথা ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ফলন ভালো হওয়ায় আবারও আউশ আবাদে ঝুঁকেছেন। পাশাপাশি সরকার ধানের বীজ দিয়ে সহায়তা করায় আগ্রহী হয়েছেন কৃষকরা। কম সময়ে আউশ ধান ঘরে তুলতে পেরে অভাব ঘুচছে অনেকের। এই ধান আবাদে খরচ কম, তবে ফলন বেশি পাওয়া যায়।’
এবার সরকার কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে পাঁচ কেজি করে আউশের বীজ দিয়েছিল জানিয়ে তালেব উদ্দিন বলেন, ‘২৭ শতক জমিতে ধান আবাদ করেছি। বীজতলা ও চারা তৈরিতে ৫০০, রোপণে শ্রমিক বাবদ এক হাজার ৩০০, জমি চাষে এক হাজার, ইউরিয়া ও পটাশ সারে এক হাজার ৬০০, সেচ বাবদ ৪০০, নিড়ানি বাবদ ৪০০, ধান কাটায় এক হাজার ২০০ এবং মাড়াই করতে খরচ লেগেছে ৬০০ টাকা।’
২৭ শতক জমিতে আট মণ ধান পেয়েছি উল্লেখ করে এই কৃষক বলেন, ‘সবমিলিয়ে আবাদে খরচ হয়েছে ছয় হাজার টাকা। আট মণ ধান এক হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে পাবো আট হাজার টাকা। হিসাবে দুই হাজার টাকা আয় হবে আমার।’