1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাল্টার বাম্পার ফলন : ২৭ কোটি টাকা বিক্রির সম্ভাবনা

বানিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পাহাড়ি লালমাটিসমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবার বারি-১ জাতের সবুজ মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে বাগানগুলোতে মাল্টা পরিপক্ব হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু হয়েছে। গুণেমানে পুষ্টিসমৃদ্ধ পাহাড়ি মাল্টার ক্রেতাদের কাছে চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন বাগান মালিকরা। এ অবস্থায় সবুজ মাল্টার পাশাপাশি হলুদ মাল্টা এবং বারোমাসি থাই মাল্টার দিকে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বাগানিদের সহযোগিতার জন্য সব ধরনের আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ জানায়, ফলসমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, কসবা, আখাউড়া উপজেলায় পেয়ারা, লিচু, কাঁঠালের পর এবার বাণিজ্যিকভাবে বারি-১ জাতের সবুজ মাল্টার চাষাবাদ শুরু হয়েছে। মাল্টা চাষে খরচ কম হওয়ায় পতিত জমিগুলোতে এখন সবুজ জাতের মাল্টা চাষ হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, গত ২০১৫ সালের পর থেকে পাহাড়িসমৃদ্ধ জমিগুলোতে মাল্টা চাষাবাদ শুরু হয়। ফলন ভালো হওয়ায় এবং মাল্টার চাহিদা থাকায় এ বছর চাষিরা ব্যাপক লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা। পাশাপাশি হলুদ মাল্টার দিকেও তারা ঝুঁকেছেন বলে জানান তারা।

মাল্টা বাগানি প্রবাসী মো. শিমুল বলেন, আমি সাউথ আফ্রিকায় ছিলাম বেশ কয়েক বছর। সেখান থেকে দেশে এসে এলাকায় মাল্টা চাষ শুরু করেছি। গতবছরও মাল্টা বিক্রি করে ভালো লাভবান হয়েছিলাম। এ বছরও অনেক বেশি ফল এসেছে। আশা করি, এ বছরও আমি লাভবান হব। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি টাকার মাল্টা বিক্রির আশা করছি। আমরা যদি কৃষির ওপর নির্ভরশীল থাকি তাহলে বিদেশ থেকে দেশেই বেশি আয় করা সম্ভব হবে।

মো. সাচ্চু মিয়া নামে অপর বাগান মালিক বলেন, আমরা যারা এই এলাকায় মাল্টা বাগান করেছি, আমরা সবাই লাভবান হয়েছি। আমার জমিতে প্রথমে পেয়ারা চাষ করা হতো। পরে গত ২০১৫ সালে মাল্টা চাষ শুরু করেছিলাম। গাছ লাগানোর দু-তিন বছর পর থেকেই আমরা মাল্টা বিক্রি করতে পেরেছি। গত ৩ বছরে মাল্টা বিক্রি করে আমরা লাভবান হয়েছি। পাশাপাশি মাল্টা বাগানের পাশে অন্যান্য ফলের গাছও লাগানো যাচ্ছে। আগামীতে হলুদ মাল্টা চাষ করার পরিকল্পনা আছে আমার।

এ দিকে মাঠপর্যায়ে দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. হাদিউল ইসলাম ভূঁইয়া ও মো. রহুল আমীন খান জানান, মাল্টা বিদেশি ফল হলেও এটি এখন আমাদের দেশীয় ফলের সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষি মেলায় সর্বপ্রথম এই মাল্টার প্রদর্শনী দেখানো হয়। এরপর থেকে বিজয়নগর এলাকার কৃষকেরা মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। গত কয়েক বছর ধরে মাল্টা বিক্রি করে তারা লাভবান হয়েছেন। বর্তমানে সবুজ মাল্টার পাশাপাশি বারি-৩ এবং বারোমাসি থাই মাল্টার চাষাবাদের জন্য তাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুশান্ত সাহা জানায়, মাল্টা লাভজনক ফসল হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষকরা মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। প্রতিবছরই জেলায় আবাদের পরিমাণ বাড়ছে। এ বছর জেলায় ৯টি উপজেলায় ১৪১ হেক্টর জমিতে মাল্টার আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজয়নগর, কসবা, আখাউড়া এলাকায় পাহাড়ি মাটি হওয়ার কারণে সেসব এলাকায় আবাদের পরিমাণ খুব বেশি। মাল্টা চাষাবাদে আগ্রহ বাড়াতে চাষিদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তারপরেও মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বাগানে বাগানে গিয়ে খোঁজখবর রাখছেন। রোগবালাই ও আন্তঃপরিচর্যার বিষয়ে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এই মাল্টা বাজারে বিক্রির উপযুক্ত সময় হচ্ছে সেপ্টেম্বর শেষ থেকে অক্টোবরে মধ্যকালীন। সে জন্য মাল্টা পরিপক্ব হলেই বাজারজাত করার পরামর্শ দেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ১ হাজার ৯০০ মাল্টা বাগান থেকে প্রায় ২ হাজার ৪৫৩ টন মাল্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য অন্তত ২৭ কোটি টাকা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ