1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৪ সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৩।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মিডিয়া উয়িংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: মো. মহসীন আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন (১৭), আনসার আল ইসলামের উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেরামত আলী ছেলে মুনতাসির বিল্লাহ (৩৬),  ও তার সহযোগী রিয়াজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মালেক (৩৩) এবং  মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০)।

র‌্যাব জানায়, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৩  ঠাকুরগাঁও সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. ইয়াছিনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিনাজপুর সদর ও বিরল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মুনতাসির বিল্লাহ ও তার সহযোগী আব্দুল মালেক এবং সাব্বির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থাকা বিভিন্ন দাওয়াতী বই (হার্ড কপি এবং পিডিএফ কপি), ০৪টি মোবাইল ও ০৪টি সিমকার্ড জব্দ করে র‌্যাব।

র‌্যাব আরও জানায়, তরুণদের ব্রেইন ওয়াশ করা সহজ তাই তারা তরুণদের টার্গেট করে বিভিন্নভাবে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছিল।

গ্রেফতার মুনতাসির বিল্লাহ সংগঠনটির উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত। সে টেক্সটাইল বিষয়ে ০৬ মাস অধ্যয়নের পর পড়া বাদ দিয়ে এলাকায় হিজামার ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি এলাকায় প্রাইভেটও পড়াতো। সে ২০২১ সালে ‘আনসার আল ইসলাম’ সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতার মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগ দেয় ও উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে।
পরবর্তীতে মুনতাসির উত্তরাঞ্চলে দাওয়াতী কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে নিযুক্ত হয়। আজ পর্যন্ত সে ১৫ জনের বেশি ব্যক্তিকে সংগঠনে যুক্ত করেছে বলে জানা যায়। সে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। মুনতাসির ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ঢাকা, লক্ষ্মীপুর, ভোলা এবং খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সফর ও সভায় অংশগ্রহণ করতো বলে জানা যায়। এছাড়া পাশের বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখতো। সদস্যদের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ সংগ্রহ, মুসলমানদের ওপর নির্যাতন ও উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্যের ভিডিও এবং বিভিন্ন উগ্রবাদী বই সরবরাহ করতো।

গ্রেফতার ইয়াছিন এসএসসি পাস করে ঠাকুরগাঁও এলাকায় মধুর ব্যবসা করতো। সে ২০২২ সালে মুনতাসিরের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে উক্ত সংগঠনে যোগদান করে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। সে সরাসরি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং সংগঠনের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে জানা যায়। সে তার এলাকার ০৬ জনকে উদ্বুদ্ধ করে সংগঠনে যোগদান করিয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গ্রুপে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতো। সে তার মধু ব্যবসার অর্থ এবং ঠাকুরগাঁও এলাকার সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে গ্রেফতার মুনতাসিরকে দিত বলে জানা যায়। সে এরআগে গ্রেফতার রিপনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতো ও রিপনকে তথাকথিত হিজরতের জন্য পাশের দেশে গমনের উদ্দেশ্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করেছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতার আরেক আসামি আব্দুল মালেক পূর্বে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে কুক হিসেবে কর্মরত ছিল। গত ০৩ বছর আগে দিনাজপুরে ফিরে এসে চাংপাই চাইনিজ নামে একটি ফুড কার্ডের ব্যবসা শুরু করে। ২০২১ সালে মুনতাসিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং আনসার আল ইসলামের মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগদান করে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। সে এ পর্যন্ত ৪-৫ জনকে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করিয়েছে বলে জানা যায়। সে সংগঠনে নিয়মিত চাঁদা প্রদান করতো। এছাড়া সে গ্রেফতার মুনতাসিরের সঙ্গে দিনাজপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংগঠনের সভায় অংশ নিয়েছে বলে জানা যায়।

গ্রেফতার সাব্বির মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে দিনাজপুরের বিরলে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করতো। সে ২০২২ সালে মুনতাসির এর মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘আনসার আল ইসলাম’ এ যোগদান করে। সে তার নিজ এলাকা দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল এবং ৩/৪ জনকে সংগঠনে যোগদান করিয়েছে বলে জানা যায়। সে গ্রেফতার মুনতাসিরের সঙ্গে উত্তরাঞ্চল ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠনের মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়। সে সংগঠনের কাজে নিয়মিত চাঁদা প্রদান করতো এবং অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে মুনতাসিরের কাছে জমা দিত।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, প্রাথমিকভাবে তারা জঙ্গি সংগঠনে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে এবং গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ