1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

উত্তরবঙ্গে চাহিদা বাড়ছে সুপারির

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

উত্তরবঙ্গের মজা সুপারির ফলন বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে চাহিদাও। প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনা, ঝোপঝাড়, পুকুরপাড়, রাস্তার ধার – সব জায়গায় দেখা যায় সুপারি গাছ। একবার লাগালে দীর্ঘদিন ধরে ফল দিয়ে থাকে এ গাছ। আর ব্যবসায়ীরা এ সুপারি কিনে তা মাটিতে পুঁতে রাখেন বা পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। পরে পচানো ওই সুপারি বিক্রি করেন প্রায় দেড়গুণ দামে। তাইতো শখ করে তারা এর নামও দিয়েছেন ‘মজা সুপারি’।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রংপুর সদর, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ এলাকায় প্রচুর সুপারি চাষ হয়। এ গাছের তেমন কোনো যত্ন নেয়ার প্রয়োজন হয় না; এর কোনো ডালপালাও থাকে না। সোজা লম্বা হয়ে থাকে। রংপুরের পৌর বাজার ও লালবাগ বাজারসহ প্রতিটি উপজেলা শহরেই গড়ে উঠেছে সুপারির বাজার। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ফলনও বাড়ছে।

স্থানীয়রা জানান, মূলত বিয়ে বাড়ি, ভুঁড়িভোজ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান ছাড়াও গ্রামের মানুষের নিত্যদিনের খাবার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে পান-সুপারি। তাছাড়া এ এলাকায় অতিথি আপ্যায়নের পর পান-সুপারি দেয়া একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।

কৃষকরা জানান, চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ – এ তিন মাসে গাছে সুপারি পাকতে শুরু করে। অপরদিকে সুপারি গাছে নতুন করে ফুল ও ফল আসা শুরু হয়। বসতবাড়ির আশপাশে এবং উঁচু জমিতে চারা লাগানোর আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যেই ফল দিতে শুরু করে সুপারির গাছ। বছরে এক-দুবার গোবর সার আর পানির সেচ দেয়া ছাড়া আর তেমন কোনো বাড়তি পরিচর্যা করা লাগে না।

ব্যবসায়ীরা কেউ কেউ বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে সুপারি কিনে তা মাটিতে পুঁতে রাখেন বা পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। পরে পানিতে পচানো ওই সুপারি শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে বিক্রি করেন প্রায় দেড়গুণ দামে।

রংপুর নগরীর হাছনা বাজার এলাকার বাসিন্দা সাজিবুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে ৩০ থেকে ৫০টির মতো সুপারি গাছ আছে। এগুলো বাড়ির পাশে লাগিয়েছি। প্রতি বছরই প্রচুর পরিমাণে সুপারি পাওয়া যায়। অল্প পরিমাণে আমরা খাই ও আত্মীয় বাসায় আসলে তাদের খেতে দেই। আর বাকিগুলো বিক্রি করে দেই।’

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর এলাকার মো. কচি মিয়া বলেন, সুপারি গাছ একবার লাগালে ১০-১৫ বছর ফল পাওয়া যায়। চাহিদা ভালো থাকায় সুপারি অধিক লাভে দ্রুত বিক্রি হয়। ছায়াযুক্ত জায়গাতেও সুপারি গাছ বড় হয়। আমি পুকুর পাড় ও অল্প একটু জায়গায় সুপারি গাছ লাগিয়েছি। তা থেকে বছরে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয়।

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, রংপুরের আবহাওয়া ও মাটি সুপারি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এছাড়াও সুপারি চাষাবাদে অনেক শিক্ষিত মানুষও এগিয়ে আসছে এবং যথাসময়ে গাছের পরিচর্যা করছেন। এতেও উৎপাদন বাড়ছে। আশা করি ফলন আরও ভালো হবে।

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর রংপুর জেলায় মোট ২৫৬ হেক্টর জমিতে সুপারি চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১৫৯০ মেট্রিক টন সুপারি। ২০২১ সালে ১৪০০ মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদন হয়েছিল।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

মানবাধিকার দিবসে ঘরোয়া আলোচনা সভা করবে আওয়ামী লীগ

রনির অভিযোগে সহজ ডটকমকে ২ লাখ জরিমানা 

নাসিক নির্বাচন : নেতাকর্মীদের একযোগে নৌকার পক্ষে কাজ করার নির্দেশ সভানেত্রীর

যুক্তরাজ্যে এ লেভেলের গণিত প্রশ্নপত্র ফাঁস: আতঙ্কে বিএনপি-জামাত

কম্বাইন হারভেস্টারের সুফল পাচ্ছেন হাওরের কৃষকরা

৭৭৯ মেগাওয়াট উৎপাদনে সক্ষম ৫ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

৯/১১ হামলা ও এর প্রেক্ষাপটে বর্তমান বাস্তবতা

আটক সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

করোনা টিকার জন্য নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই বিজ্ঞানী

অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে কঠোর হয়েছে কেন্দ্র: সিলেট আওয়ামী লীগে তোলপাড়