1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য রক্ষার পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলস্বরূপ বিশ্বব্যাপী জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির সম্মুখে। তাই জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তথা আগামী প্রজন্মের জন্য একটা বসবাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাওয়ার জন্য সারাবিশ্বের দেশগুলো নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের গৃহীত বাস্তবমুখী নানা পদক্ষেপের কারণে দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলদেশ। আর টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে উপকূলীয় তথা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষার দিকে যার প্রমাণ মিলে সরকার কর্তৃক গৃহীত নানা পদক্ষেপের মধ্যে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে ২০১২ সালে মিয়ানমার এবং ২০১৪ সালে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধের নিষ্পত্তির পর সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নের পাশাপাশি সরকার সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য বিভিন্ন বাস্তবমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করে। বাংলাদেশ সরকার মাছ, বিশেষ করে জাতীয় মাছ ইলিশ সংরক্ষণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ১৯৫০ সালের মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুসারে, ছয়টি নদী ও মোহনা অঞ্চলে ৪৩২ কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্য জুড়ে ইলিশের আবাসস্থলগুলোকে ইলিশের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়াও, সব অভয়ারণ্যে অক্টোবর মাসে ইলিশ প্রজনন রক্ষার জন্য জাতীয়ভাবে ২২ দিনের জন্য মাছ ধরা, পরিবহণ এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। তাছাড়া, ২০১৫ সালে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদসহ অন্যান্য জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩ (বর্তমানে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০) দ্বারা বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় বাণিজ্যিক ট্রলারসহ সকল প্রকার নৌযান দ্বারা ৬৫ দিনের জন্য মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ৬৯৮ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে মেরিন রিজার্ভ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার মেগাফনা সংরক্ষণের জন্য সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের ১৬৩৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা, ২০১৯ সালে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণসহ অন্যান্য সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে নিঝুম দ্বীপসংলগ্ন ৩১৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা এবং ২০২২ সালে প্রবালদ্বীপের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সেইন্ট মার্টিন দ্বীপের পার্শ্ববর্তী জলসীমার ১৭৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকার পরিমাণ ৭৩৬৭ বর্গ কিলোমিটার যা দেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রায় ৬.২০ শতাংশ।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কেমন করছি? উদাহরণ হিসেবে আমরা আমাদের দুটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চিত্র তুলনা করতে পারি। ভারতে বর্তমানে তাদের মোট সমুদ্র এলাকার ০.২৪ শতাংশ সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে আছে যা মিয়ানমারে ০.৫ শতাংশ। আয়তনের দিক দিয়ে পার্শ্ববর্তী দুটি দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ছোট হলেও দেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রায় ৬.২০ শতাংশকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা সরকারের সাহসিকতা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ঐকান্তিক প্রচেষ্টার পরিচয় বহন করে।

জীববৈচিত্র্য রক্ষার নানামুখী পদক্ষেপের কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, যে এলাকায় পদক্ষেপগুলো নেয়া হয়েছে সে এলাকার উপর নির্ভরশীল জেলে সম্প্রদায়ের জীবিকার কি হবে? জেলেদের জীবিকার কথা চিন্তা করে সরকারের রয়েছে নানা বাস্তবমুখী কর্মসূচি। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে সরকার কর্তৃক গৃহীত ভিজিএফ মৎস্য, বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ প্রদান এবং মৎস্য চাষ প্রদর্শনী প্রকল্পের কথা। আমাদের দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জেলে পরিবারের মাছ-আহরণ ব্যতীত বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ খুব কম। তাই উপকূলীয় জেলেদের মাছ ধরার নিষিদ্ধকালীন সময়ে পরিবারের খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার হাতে নিয়েছে ভিজিএফ মৎস্য প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে জাটকা ইলিশ ধরার নিষিদ্ধকালীন সময়ে ২০টি উপকূলীয় জেলার ৯৭টি উপজেলার প্রায় ৩৬০৮৬৯টি জেলে পরিবারকে ফেব্রুয়ারি থেকে মে ২০২৩ পর্যন্ত প্রত্যেক পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় যা নিঃসন্দেহে এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ। একই অর্থবছরে প্রায় ৫৬০০ জেলে পরিবারকে, পরিবারপ্রতি ২৫০০০ টাকা মূল্যের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ প্রদান করা হয় যা মৎস্য আহরণের নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের জীবিকা নির্বাহকে অনেকটাই নিরাপদ করেছে। এছাড়া, আপৎকালীন সময়ে জেলেদের মৎস্য চাষ প্রদর্শনী প্রকল্পের মাধ্যমে জেলেদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করেছে সরকার।

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলো আসলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে আদৌ কোনো প্রভাব ফেলছে কিনা বা এই জেলেদের জীবন ও জীবিকায় কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলছে কিনা। মৎস্য সম্পদের উপর বিভিন্ন পদক্ষেপগুলোর প্রভাব আমরা দেখতে পারি ইলিশের উৎপাদন থেকে। ইলিশের উৎপাদন গত এক দশকের কিছু বেশি সময়ে প্রায় ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার কর্তৃক গৃহীত নানা পদক্ষেপ সফলতা পেয়েছে। জেলেদের জন্য সরকারের খাদ্য সহায়তাসহ বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরির প্রকল্পগুলো জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে করেছে টেকসই। আর এই ধারা অব্যাহত রাখা গেলে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশ খুব দ্রুতই বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

লেখক: ড. সুব্রত সরকার – সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

যৌতুক দিতে না পারলে বরযাত্রী নিয়ে চলে যেতে হবে – ভিডিও ভাইরাল! 

‘আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন করেছে’

কিশোরগঞ্জে অবৈধ ড্রেজার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন। সাংসদ ও মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ।

বিএনপির ১৭৩ প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত: ৩০০ আসনে ২০ দলীয় জোটের খসড়া তালিকা

শিশু অধিকারগুলো সুরক্ষিত হোক

আজ জাতীয় কবির ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী

কৃষকের মুখে হাসি: হাইব্রিড ধানের বাম্পার ফলন

ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের এমডি অ্যানা বেজার্ড

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই নতুন মুদ্রানীতির মূল চ্যালেঞ্জ

ঘূর্ণিঝড় মোখা : যে কারণে প্রতিমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী