1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বান্দরবান ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের মাইন বিস্ফোরণ, কৃষকের পা বিচ্ছিন্ন

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২

বান্দরবান ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের মাইন বিস্ফোরণে ফের মো. কাদের (৫০) নামে বাংলাদেশি এক কৃষকের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চেরারকুল সীমান্তে গরু আনতে গেলে মিয়ানমার সীমান্তে এ মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. কাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

আহত কৃষক মো. কাদের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চেরারকুর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মীর আহম্মেদের ছেলে।

এ নিয়ে গেল ২০ দিনে সীমান্তে ৩টি মাইন বিস্ফোরণে দুই বাংলাদেশি কৃষকের পা বিচ্ছিন্নের ঘটনা ঘটল। এছাড়াও এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয় এবং আহত হন আরও একজন রোহিঙ্গা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে বসবাস করে ২৪ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। এ সব বাসিন্দাদের অনেকের বসতি সীমান্তের খুব কাছাকাছি। অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করে কৃষক কাজ করে।

সীমান্তের বাসিন্দারা জানায়, অনেক সময় কৃষকদের গরু মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি চলে যায়। আর এসব গরু আনতে গিয়ে মিয়ানমার বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইনে পা দিয়ে গুরুতর আহত হন।

মঙ্গলবার বিকেলেও নাইক্ষ্যংছড়ির চেরারকুল সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে মিয়ানমারের পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি এক কৃষক আহত হন এবং একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পা হারানো মো. কাদেরের ভাই মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, সীমান্তে গরু খুঁজতে গিয়েছিলাম। সেখানে মিয়ানমারের পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরিত হয়ে আহত হয়। বিস্ফোরণের পরে স্থানীয় খোঁজাখুঁজি করে কাদেরকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, মাইন বিস্ফোরণে আহত রোগীর ডান পায়ের মাংসপেশি উড়ে গেছে। কিছু হাড় রয়েছে, তাও রক্ষা করা যাবে না। রোগীর অবস্থায় খুবই খারাপ। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার মতো না। আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হবে।

এর আগে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে সীমান্তের হেডম্যান পাড়ার এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়। আর গত রোববার মাছ শিকারে গিয়ে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে অপর এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয় এবং আরেকজন আহত হন।

 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ