1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্পের কাজ

যশোর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২

পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্পের যশোর অংশের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে ইমব্যাকমেন্ট বেড ও ব্রিজ নির্মাণের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, ২০২৩ সালের মধ্যেই রেললাইন স্থাপন, ব্রিজ ও রেলস্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া এ প্রকল্প ঘিরে যশোর রেলস্টেশনেও উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। তবে চলমান রেললিংক প্রকল্প শেষ হলে সড়কের পাশাপাশি রেলপথ ব্যবহার করেও যশোর থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় ঢাকায় যাওয়া সম্ভব হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ দুটি ডিভিশনের আওতায় করা হচ্ছে। প্রথম ডিভিশন ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজ করছে এবং দ্বিতীয় ডিভিশন কাজ করছে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত। দ্বিতীয় ডিভিশনের আওতায় যশোরের প্রায় ১১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ, রেল ব্রিজ ও তিনটি রেলস্টেশন নির্মাণকাজ চলছে। এরই মধ্যে ইমব্যাকমেন্ট বেডের কাজ শেষ পর্যায়ে। সাবব্লাস্টের কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ভৈরব রেল ব্রিজের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। শিগগিরই এ ব্রিজের ওপর বসানো হবে গার্ডার।

চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের ইমব্যাকমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মহিদুল ইসলাম জানান, ডিভিশন-২-এর আওতায় যশোর অংশের কাজ চলছে। কাজের অগ্রগতি ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। এরই মধ্যে ইমব্যাকমেন্টের কাজ শেষ হয়েছে। সাবগ্রেড ও সাবব্ল্যাস্টের কাজ চলছে। ইনশাআল্লাহ যশোর অংশের কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে।

স্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত আকাশ জানান, এ প্রকল্পের যশোর অংশের কাজে একটি মাত্র ব্রিজ আছে। যেটি ভৈরব রেল সেতু নামে পরিচিত হবে। এ সেতুতে দুটি রেলট্র্যাক বসবে। পদ্মবিলা রাধানগর রেলস্টেশন থেকে একটি পৃথক ট্র্যাক রেলসেতু দিয়ে সিঙ্গিয়া স্টেশন হয়ে খুলনায় যাবে। অপর ট্র্যাকটি ভৈরব সেতু পার হয়ে যশোরের দিকে যাবে। সেতুর ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন গার্ডারের কাজ চলছে। এ ছাড়া একটি অংশে পিআরক্যাপ ও পাইলক্যাপের কাজ চলছে। আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভৈরব রেল ব্রিজের আগে যশোর সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলার সীমান্তে পদ্মবিলা রাধানগরে একটি নতুন রেলস্টেশন নির্মাণ হবে। এ ছাড়া বিদ্যমান সিঙ্গিয়া ও রূপদিয়া রেলস্টেশন পুনর্নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে রূপদিয়া রেলস্টেশনের কাজ শুরু হয়েছে।

সাইট ইঞ্জিনিয়ার শাহাবুল আলম জানান, প্রতিটি রেলস্টেশনে চারটি ভবন থাকবে। যার একটা মূল প্রটেকশন ভবন। এ ছাড়া একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও দুটি স্টাফ ডরমিটোরি থাকবে। রূপদিয়া রেলস্টেশনের ফাউন্ডেশনের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বলতে গেলে ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ করতে আরও ১২ থেকে ১৩ মাস সময় লাগবে।

তিনি আরও জানান, সিঙ্গিয়া স্টেশনের পুরোনো ভবন ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই নতুন ভবনের কাজ শুরু করা হবে। এ ছাড়া পদ্মবিলা রাধানগর রেলস্টেশনের কাজও এ বছরই শুরু করা হবে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া এ প্রকল্পকে ঘিরে যশোর রেলস্টেশনের উন্নয়ন ও নতুন রেলট্র্যাক নির্মাণকাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বাংলাদেশ রেলওয়ে যশোরের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ওয়ালি-উল হক জানান, যশোর রেলস্টেশন কম্পাউন্ডের উচ্চতা সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রেলস্টেশনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের চতুর্দিকে প্রাচীর নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া চতুর্থ একটি নতুন রেলট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে, যার ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যমান যে তিনটি ট্র্যাক আছে সেগুলো সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে এসব কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।

চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের তথ্যমতে, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণে ৪১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। যার মধ্যে ২১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে চীন এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগ ২০ হাজার কোটি টাকা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ